পাইকারদের দাবি হিমাগারগুলোই কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে। কৃষি আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না সরকার। অন্যদিকে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
গত মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে আলুর উৎপাদন ছিলো ৩৮ লাখ মেট্রিক টন। আর এই অঞ্চলের আনুমানিক চাহিদা প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে উদ্বৃত্ত আছে ২৮ লাখ মেট্রিক টন আলু।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, মাঠ পর্যায়ে কেজিপ্রতি আলুর উৎপাদন খরচ ৮ টাকা ৩২ পয়সা। হিমাগার পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৩ টাকা। পাইকারী ও আড়তদার পর্যায়ে ২৫ টাকা আর ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকার বেশি দামে আলু বিক্রি অযৌক্তিক।
রংপুর বিভাগে হিমাগারের সংখ্যা ৯০টি। যেখানে মজুদ রয়েছে সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন আলু। কয়েক দফা বন্যায় সবজির ক্ষতিকে পুঁজি করে হিমাগারগুলো থেকেই আলু বিক্রি হচ্ছে বস্তা প্রতি ৩৬শ টাকা। যা কেজিতে দাঁড়ায় ৪২ টাকা। পাইকারদের দাবি হিমাগারগুলোই কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে।
জাতীয় কৃষক সমিতির (রংপুর) সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানীর মতে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বাড়ছে আলুর দাম।
এদিকে, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (রংপুর) উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, “আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এটি অসাধু ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত। আমরা তা ধরতে পেরেছি। অতি দ্রুত যা ব্যবস্থা নেয়া যায় আমরা নেব।”
দাম সহনীয় রাখতে কঠোর মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
সূত্যঃ ডিবিসি নিউজ
এস/এস