কঠোর লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উপলক্ষে মার্কেটগুলো খোলা হয়েছে। শুরুতে মার্কেটগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকলেও গত কযেকদিন থেকে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বেচাকেনাও বেড়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীন বেশির ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা। টাঙ্গাইল শহরের সমবায় সুপার মার্কেট, হীরা সুপার মার্কেট, মাহমুদুল হাসান কলেজ মার্কেটসহ প্রায় সব মার্কেটেই কমবেশি ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। ক্রেতারা গাদাগাদি করে একের পর এক দোকানে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের চেয়ে কয়েকদিন ধরে বেচাকেনা বেড়েছে। ক্রেতাদের ভিড় থাকায় সামাজিক দ‚রত্ব ঠিকভাবে মানা না হলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের শতভাগ মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। বিকেলের দিকে প্রচÐ ভিড় থাকলেও সন্ধ্যার পর কিছুটা কমে যায় ইফতারের জন্য। রাত আটটার পর মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতাও কমতে থাকে। তবে সকাল থেকে বেলা চারটার পর্যন্ত বিক্রি হয়।
হীরা সুপার মার্কেটের বোরকা বিক্রেতা সোহেল মিয়া জানান, গতবারের তুলনায় এবার বেশ ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছর করোনায় একেবারে বিক্রি হয়নি। এবার ঈদের কাছাকাছি এসে দোকান খুলে দেয়া হলেও বিক্রি ভালোই হচ্ছে। মাহমুদুল হাসান মার্কেটের একজন বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, মানুষের মাঝে এবার করোনা আতংক অনেকটাই কম। ফলে তারা দোকানে আসছেন। এতে বেচাকেনাও বেশ বেড়েছে। আরেক বিক্রেতা দিলীপ জানান, মানুষ নিজেদের জন্য কেনাকাটার পাশাপাশি যাকাতের জন্যও শাড়ি কিনছে। মোট কথা এবারের ব্যবসায় তিনি খুশি। গণপরিবহন পুরোদমে চালু হলে বেচাকেনা আরো বাড়তো বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।
ঘাটাইল থেকে স্বামীসহ আসা গৃহবধ‚ রোজিনা আক্তার জানালেন, পরিবারের সবার জন্য জামাকাপড় কেনা শেষ হয়েছে তাদের। এখন কসমেটিকস কেনা বাকি আছে। জামুর্কী থেকে আসা স‚চনা আক্তার বলেন, রোজা রাখার পরে মাস্ক পড়ে মার্কেটিং করা কষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও সরকারের বিধিনিষেধ তো মানতেই হবে। ঈদের কেনাকাটাওতো বন্ধ রাখা যায় না। মেহেরা খানম পুত্রবধূ ও মেয়েকে নিয়ে আসেন মার্কেটে। তিনি বলেন, এতো ভিড়, কেনাকাটা করা খুবই কষ্ট হয়ে গেছে। আগে থেকেই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খুলে দেয়া হতো তাহলে হয়তো একবারে এতো ভিড় হতো না। ধীরে ধীরে মানুষ বেচাকেনা করতে পারতো।