টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে হাট পেরিফেরিভূক্ত সরকারি জায়গার উপর পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন রাজিব মিয়া নামের প্রভাবশালী ব্যক্তি।
হাটের জায়গা অবৈধ দখলদারের কব্জায় চলে যাওয়ায় একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অপরদিকে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার উপকারভূগীরা। উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের নাটিয়াপাড়া সরকারি হাটবাজারে ঘটেছে এমন ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ডুবাইল ইউনিয়নের ডুবাইল মৌজার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে নাটিয়াপাড়া নামক স্থানে সরকারি হাট বাজারের পেরিফেরিভূক্ত ৩.৪৪৮৫ একর জায়গা রয়েছে। ওই জায়গার ৪১৮ খতিয়ানের ৮০৪ নং দাগের ৪ শতাংশ ভূমি দখল করে অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মান করছেন মির্জাপুর উপজেলার গবড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মোঃ রাজিব মিয়া।
জানা গেছে, তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে সরকারি হাটের জায়গায় অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। এতে বাজারের বণিক সমিতির সদস্যরাও উদ্বিঘ্ন।
বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, নাটিয়াপাড়া বাজারের সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে বিল্ডিং নির্মাণ হচ্ছে। বিষয়টি ভূমি অফিসের নায়েব এবং আমরা সবাই জানি। শুনেছি নায়েব স্থাপনাটি নির্মান বন্ধের ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।
সরকারি জায়গায় স্থাপনাটি নির্মাণ বন্ধে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ডুবাইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) একেএম ফজলুল হক বলেন, মির্জাপুর উপজেলার গবড়া গ্রামের রাজিব মিয়া সরকারি পেরীফেরীভূক্ত হাটের ৪ শতাংশ জায়গার উপর অবৈধভাবে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। একাধিকবার উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য লিখিতভাবে নোটিশ প্রদান করলেও তিনি নির্মান কাজ বন্ধ করছেন না। রাতের আধারে এবং অফিস বন্ধের দিনে তিনি নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন।
সরকারি জমির উপর ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজিব মিয়া বলেন, ওই জায়গার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। জায়গাটি ২০০৭ সালের পরে হাট পেরিফেরিভূক্ত করা হয়েছে। আমি সরকারের বিরুদ্ধে মামলায় যাব।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সূচি রানি সাহা বলেন, ডুবাইল ইউনিয়নের নাটিয়াপাড়া হাট বাজারের পেরিফেরিভূক্ত ৪ শতাংশ জায়গায় অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এমন খবরে ঘটনাস্থলে পৌছে একাধিকবার আংশিক স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে এসেছি। তার পরও রাতের আধারে কাজ চলমান রেখেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। খুব শীঘ্রই আমরা উচ্ছেদ নোটিশ সৃজন করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।