1. admin@amadertangail24.com : md Hasanuzzaman khan : The Bengali Online Newspaper in Tangail News Tangail
  2. aminulislamkobi95@gmail.com : Aminul islam kobi : Aminul islam kobi
  3. anowar183617@gmail.com : Anowar pasha : Anowar pasha
  4. smariful81@gmail.com : ArifulIslam : Ariful Islam
  5. arnobalamin1@gmail.com : arnob alamin : arnob alamin
  6. dms09bd@yahoo.com : dm.shamimsumon : dm shamim sumon
  7. kplithy@gmail.com : Lithy : Khorshida Parvin Lithy
  8. hasankhan0190@gmail.com : HM Maruf Ahmmed : HM Maruf Ahmmed
  9. monirhasantng@gmail.com : MD. MONIR HASAN : MD. MONIR HASAN
  10. muslimuddin@gmail.com : MuslimUddin Ahmed : MuslimUddin Ahmed
  11. sayonsd4@gmail.com : Sahadev Sutradhar Sayon : Sahadev Sutradhar Sayon
  12. sheful05@gmail.com : sheful : Habibullah Sheful
বিষাক্ত ফুল যখন বহু রোগের মহৌষধ!!! - Amader Tangail 24
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ-
ঘাটাইলে বিআরডিবির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পন্ন ইসলামী ব্যাংক এলেঙ্গা শাখার ইফতার মাহফিল টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্যাব বিতরণ সখিপুরে এক বাড়ির গোয়ালের সব গরুই চুরি হয়েছে মির্জাপুরে ইসলামী ব্যাংকে ইফতার মাহফিল বাসাইলে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ সখিপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোরের মৃত্যু দেলদুয়ারে উপজেলা প্রশাসনের দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে লিফলেট বিতরণ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সখিপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন কমিটি গঠন সখিপুরে গজারি কাঠসহ ট্রাক আটক। ভূঞাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত সখিপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন দেলদুয়ারে স্বাধীনতা দিবস পালিত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা বাসাইলে নানা আয়োজনে  মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

বিষাক্ত ফুল যখন বহু রোগের মহৌষধ!!!

মোঃ মনির হাসান
  • প্রকাশ : সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০
  • ৫৪৫ ভিউ

আগুনের শিখার ন্যায় জ্বলছে এক ফুল। দেখতেও যেমন এর নামটিও ঠিক তেমন, ‘অগ্নিশিখা’। কেউবা এই প্রকৃতির বিস্ময়কে ডাকে ‘উল্টো চণ্ডাল’ বলে। এই ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম- গ্লোরিওসা সুপার্বা। ‘অগ্নিশিখা’ ফুলের গাছ ছয় থেকে আট ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। ছায়াঘেরা অথবা যেখানে সবসময় সূর্যালোক থাকে দুই জায়গাতেই এরা বেড়ে ওঠে। লাল ও উজ্জ্বল হলুদ রঙের হয়ে থাকে।

বাংলা সাহিত্যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন উদ্ভিদের অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও বহুমাত্রিক ব্যবহার করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এক্ষেত্রে তার অবদান একজন উদ্ভিদবিজ্ঞানীর সমতুল্য। বিভিন্ন সময়ে তিনি যে শুধু দেশীয় গাছপালা নিয়ে কথা বলেছেন তা নয়, বিদেশি অনেক গাছকেও নাম দিয়ে আপন করে নিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে গ্লোরিওসা সুপার্বা বা অগ্নিশিখাও। আমাদের দেশে এই ফুলটি উল্টো চণ্ডাল নামেই বেশি পরিচিত।

পুষ্প রাজ্যে একই সঙ্গে তিনটি রঙে রাঙা ফুলের দশর্ন খুব কমই পাওয়া যায়। অবাক করা অগ্নিশিখা ত্রিরাঙা মনোহরী ফুল। ফুলের বৈচিত্র্যের মতোই এর বাংলা নামটাও বেশ বিচিত্র। এর গাঢ় সবুজ পাতাগুলো লম্বাটে, মসৃণ এবং আকারে সরু। লতা থেকে বের হয় সবুজ ডাঁট। আর ডাঁটের শেষ মাথায় থাকে ফুল।

প্রজাপতির মেলে দেয়া ডানার মতো গ্লোরিলিলিও যেন মেলে দেয় তার পাপড়ির ডানা। ছয়টি উন্মুক্ত পাপড়ি। পাপড়ির নিচ দিয়ে আরো ছয়টি হলুদ কেশর। পাপড়ির শরীরটা অর্ধেক হলুদ অর্ধেক লাল। পরিপূর্ণ প্রস্ফুটিত একটি উলটচণ্ডালের পাপড়ি ও কেশর দুটোই লাল হয়ে থাকে। যেন এক অগ্নিশিখা। বর্ষা থেকে শরত পর্যন্ত উল্টো চণ্ডাল ফোটে।

জঙ্গলে জন্ম হলেও এই লতানো বনফুলের সৌন্দর্য অনন্য। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ফুল ধরে লতাজুড়ে। লাল আর হলুদে মিশ্রিত ফুল মন কেড়ে নিতে পারদর্শী যে কোনো ফুলপ্রেমীর। তবে এর সৌন্দর্য কেড়ে নিতে পারে মানুষের প্রাণ। ‘উল্টো চন্ডাল’ বা ‘অগ্নিশিখা’ নামক এই ফুল খুবই মারাত্মক। এর গাছ ও ফুল বিষাক্ত হয়ে থাকে।

শুধু কি মানুষ, নিজের সৌন্দর্যে প্রজাপতি আর ভ্রমরকে আকর্ষণ করে এই ফুল বাড়িয়ে তোলে প্রকৃতির সৌন্দর্য। তাইতো প্রকৃতিও তার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে তাকে রাঙিয়ে তুলেছে আগুনের সাবলীলতায়। সব সবুজের ভেতর লাল আর হলুদের আগুন রং যেন হার মানায় এ শহরের কৃষ্ণচূড়ার আবেদনকেও।

অগ্নিশিখা ফুলটি রাজধানীতে সচরারাচর দেখা না গেলেও গ্রামাঞ্চলে দেখা মেলে প্রায়শই। এছাড়া লতা জাতীয় এই ফুলটি দেশের টাঙ্গাইল, গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার জঙ্গলে জন্মে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের বাগানে আর গুলশানের কয়েকটি অভিজাত বাড়ির দেয়ালের মাঝে মধ্যে দেখা যায় ফুলটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেষজ ব্যবহারের জন্য মাত্রাতিরিক্ত আহরণের কারণে লতাটি এখন বনের পরিবেশে কম দেখা যায়। তবে অনেকেই এর ফুলের সৌন্দর্যের জন্য শখ করে নিজের বাড়িতে বা বাগানের এক কোণে জায়গা করে দেয়।

এ প্রসঙ্গে রাজধানীর মিরপুরের একজন ফুলপ্রেমী বলেন, অগ্নিশিখা ফুল দেখতে অনেক সুন্দর। লতানো হওয়ায় গাছটি অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারে। এর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। যে ব্যক্তিই এই ফুল দেখুক না কেন, প্রশংসা করবেই।

লতানো আর বনে জঙ্গলে থাকে বলে এই ফুলের যে কদর নেই, তা কিন্তু নয়। উল্টো চন্ডাল বা অগ্নিশিখা ফুলের কদর বিশ্বব্যাপী। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের জাতীয় ফুলও এটি। তবে তার চেয়ে বড় কথা হলো, এটি জিম্বাবুয়ের জাতীয় ফুল।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের তথ্য মতে, এই ফুলের পাঁপড়িগুলো দেখতে লাগে আগুনের শিখার মত। তাই এ ফুলের আরেক নাম অগ্নিশিখা। ফুল একক এবং তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি লম্বা। মঞ্জরিতে এক বা একাধিক কুঞ্চিত দলযুক্ত গন্ধহীন ফুল ফোটে। ফুলে পাপড়ি থাকে ছয়টি। এই গাছের কিছু অংশ বিষাক্ত হলেও নানান ভেষজ গুণে গুণান্বিত।

বিভিন্ন সময় নগরের সৌন্দর্য বর্ধনে প্রধান সড়ক আর পার্কগুলোতে লাগানো হয় নানা ধরনের ফুলের গাছ। তারপর তার পরিচর্যা হয়, বিভিন্ন মৌসুমে ফুল ধরে এসব গাছে। মানুষ মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করে সেসব ফুলের সৌন্দর্য। তবে বিনা যত্নেই যে প্রকৃতি নিজেকে সাজাতে পারে অপার সৌন্দর্যে, অগ্নিশিখা যেন প্রমাণ রেখে যায় তারই।

বিচিত্র বর্ণের এই ফুল ও এর উদ্ভিদে রয়েছে বিষাক্ত উপাদান। আকর্ষণীয় ফুল হওয়ায় অনেক পশুরাই এই গাছ বা ফুল খেয়ে অতঃপর মারা যায়। কোলচিসিনসহ বিষাক্ত ক্ষারক উপস্থিতির কারণে অগ্নিশিখা ফুলের গাছের সমস্ত অংশই বিষাক্ত। এটি খাওয়া মারাত্মক হতে পারে। এমনকি গাছের ছোঁয়াতেও ত্বকে জ্বালা-পোড়া ভাব হতে পারে।

বহু দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে পরিচিত এই অগ্নিশিখা উদ্ভিদ। কাউকে বিষ প্রয়োগে হত্যাসহ ও গর্ভপাতের জন্য ব্যবহৃত হয় এই উদ্ভিদটি। এই বিষাক্ত উদ্ভিদটি আবার কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন হিসেবেও কাজ করে। অগ্নিশিখা ফুলের গাছ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আফ্রিকা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসেবে বিবেচিত।

এই উদ্ভিদে থাকা অ্যালকালয়েড কোলচিসিন প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। আফ্রিকানরা এই বিষাক্ত উদ্ভিদের সামান্য ব্যবহারের মাধ্যমে বাতে ব্যথা, বন্ধ্যাত্ব, গভীর ক্ষত, পেটের কৃমি, কিডনির সমস্যা, কলেরা এবং আলসার সারাতে ব্যবহার করে। বিষাক্ত হলেও ওষুধি গাছ হিসেবে ব্যবহৃত হয়
অগ্নিশিখা।

সুত্র- ডেইলি বাংলাদেশ

নিউজটি সোস্যালমিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ
© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY LatestNews