টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরে বিনোদন প্রেমীদের জন্য নেই কোনো বিনোদন কেন্দ্র। এক যুগেরও বেশি সময় আগে বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা ছয়টি সিনেমা হল। এ কারণে ঈদের ছুটিতে এলাকাবাসী বিনোদনের জন্য ভিড় জমাচ্ছে রেলস্টেশন, নদীর পাড় ও বংশাই সেতুতে।
ঈদের দিন আজ মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে মির্জাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে বিনোদন প্রেমী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ট্রেন চলাচল ছিল বন্ধ। এই সুযোগে স্টেশনের পশ্চিম পাশে ছিল শত শত মানুষের ভিড়। শিশু, তরুণ, যুবক ও বয়স্করা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে ভিড় করেছেন। স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা শিশুদের জন্য খেলনা, চটপটি, ফুচকাসহ নানা ধরনের সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ঈদে বিনোদনের জন্য আসা দর্শনার্থীরা সেখান থেকে ইচ্ছামতো জিনিসপত্র কিনেছেন। চোখে পড়ে বড় সাউন্ড বক্সে গানের তালে শিশু তরুণদের নাচ।
সেখানে আসা গোড়াইল গ্রামের মিনহাজ, পোষ্টকামুরী গ্রামের শান্ত, জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, আগে মির্জাপুর উপজেলা সদরের দুটি সিনেমা হলসহ উপজেলার পাকুল্যাতে দুটি, জামুর্কীতে একটি ও হাঁটুভাঙাতে একটি সিনেমা হল ছিল। ঈদের দিন থেকে শুরু করে সিনেমা হলগুলোয় দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় থাকত। বিশেষ করে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের যাঁরা ঈদের ছুটিতে বাড়ি যেতেন না, তাঁরা ভিড় করতেন সিনেমা হলে। তাঁদের কারণে টিকিট পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ত। এখন স্যাটেলাইট চ্যানেলের ভিড়ে সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বিনোদনের ব্যবস্থাও হারিয়ে গেছে। মানুষ একটু আনন্দ পাওয়ার আশায় অবসরের সময়টুকুতে রেলস্টেশনের পাশে ভিড় করেছেন। অনেকে ভিড় করেছেন আলহাজ একাব্বর হোসেন সেতুতে বিভিন্ন গ্রামের সেতুতে। আবার কেউ বংশাই ও লৌহজং নদীর পাড়ে।
মেলায় খেলনা বিক্রি করতে আসা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঈদের দিনে আমরা ভাল আয় করতাছি। মানুষ আনন্দও পাইতাছে।’
রেলস্টেশনের অদূরে পশ্চিম দিকে তাকতেই চোখ পড়ে তরুণ তরুণীদের মুঠোফোনে সেলফি তোলার আনন্দ। বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঈদের ছুচিতে এসে এমন আনন্দ করছে।
মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য খুব শিগগিরই একটি প্রকলল্প দিয়ে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হবে। যাতে পৌরবাসী অবসরে বা এমন ছটিতে একটু বিনোদন পেতে পারে।