টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার একটিগ্রামে “ব্রীজ আছে কিন্তু রাস্তা নাই”। চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী।
উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামটিতে প্রাই ১৫হাজার মানুষের বসবাস। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন এই গ্রামের বেশ কিছু রাস্তা কাঁচা ও জরাজীর্ণ। যেমন- ফজল ও শহীদের বাড়ি থেকে নাটিয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন সেহড়াতৈলের মিনহাজ ও বাবুলের বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিঃমিঃ রাস্তা, ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পশ্চিম পাড়ের (ডুবাইল পশ্চিম পাড়া) ছোট ডুবাইলের সিদ্দিকের বাড়ি থেকে কোপাকী প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত প্রায় দুই কিঃমিঃ রাস্তা, ডুবাইল দঃপাড়া চৌরাস্তা সংলগ্ন মরহুম মোতালেব ভূইয়ার বাড়ি থেকে রাশেদুল ইসলাম ও মরহুম সাত্তার ভূইয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিঃমিঃ রাস্তা, মাওঃ আঃ আউয়ালের বাড়ি থেকে কাজী নজরুলের বাড়ি ও জিন্নত ভূইয়ার বাড়ি হয়ে ডুবাইল জাগরণী সমাজ কল্যান সমিতি-র ক্লাব মাঠ ধরে হযরত ও কালু মাঝির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিঃমিঃ রাস্তাসহ ডুবাইল গোরস্থান হতে মোকছেদ দেওয়ানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির মাঝামাঝি মাওঃ ফারুকের জমি থেকে মরহুম তরিফ ও খোররমের বাড়ি হয়ে ডুবাইল খেলার মাঠ পর্যন্ত প্রায় ৮শ মিটার রাস্তাটির বেহাল দশা।
তন্মমধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলার ডুবাইল গ্রামের শহীদ খান ও ফজলের বাড়ি সংলগ্ন সড়ক থেকে (উত্তর দিকে) নাটিয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন ডুবাইল/সেহড়াতৈল মৌজার সেহড়াতৈলের হেলাল মিয়া ও মিনহাজের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিঃমিঃ রাস্তাটি কেবল নামে, সরেজমিনে দেখা যায় রাস্তার দুইপাশের জমির মালিকগণ রাস্তাটি ছেঁটে ছেঁটে সংকুচিত করে ফেলেছে। আর এই সংকুচিত রাস্তাটিতেই “ব্রিজ আছে কিন্তু রাস্তা নাই!”
স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তাটি মাটি ভরাট ও পাকা করার মাধ্যমে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গমনাগমনে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের নিরাপদে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে, অন্যথায় বিকল্প রাস্তা হিসেবে ৬লেনের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ব্যবহার করতে হবে। যা কোমলমতি শিশুসহ সর্বসাধারণের জন্য ঝুঁকি বলে উল্লেখ করেন।
স্থানীয় ডুবাইল জাগরণী সমাজ কল্যান সমিতির সহ-সভাপতি মো. মোন্তাজ মিয়া বলেন, ডুবাইল একটি আদর্শ গ্রাম, উপজেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে এই গ্রামে। এই গ্রামের বেশ কিছু রাস্তা চলাচলে অনুপযোগী বিশেষ করে শহীদ খান ও ফজল মিয়ার বাড়ি থেকে নাটিয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন সেহড়াতৈলের বাবুল ও মিনহাজের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি একেবারে চলাচলে অনুপযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে ব্রিজটি ছাড়া এই রাস্তার কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। মহাসড়ক বিকল্প রাস্তা হলেও তা সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ! কারন মহাসড়ক দিয়ে গমনাগমনে প্রায়ই দূর্ঘটনায় কবলিত হয় মানুষ, তাছাড়া দূরত্বটাও অনেক বেশি হয়। অতএব, রাস্তাটি উন্নয়নে এগিয়ে আসতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
ডুবাইল ইউ.পি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন,
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায়
ডুবাইলসহ আশেপাশের গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্রিজটির কাজ আমার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে রাস্তাটি সংস্কার ও মাটি ভরাটের পরিকল্পনা রয়েছে। বণ্যা ও বর্ষায় মানুষ যাতে নির্বিঘ্ন চলাচল করতে পারে।
দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইন্ঞ্জিঃ মাহমুদুল হাসান মারুফ এবিষয়ে বলেন, আমার জানা মতে উপজেলার মধ্যে ডুবাইল একটি বৃহত্তর জনবহুল গ্রাম, এই গ্রামের উল্লেখিত এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটির সংস্কার ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ মুক্ত হবে বলে আমি মনে করি। আমার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলে রাস্তাটি সংস্কার ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার ত্রুটিহীন প্রচেষ্টা থাকবে।
স্থানীয়দের প্রানের দাবী রাস্তাটি অতিদ্রুত মাটি ভরাট পরবর্তী পাঁকা করণের মাধ্যমে এ দুর্ভোগ থেকে যাতে মুক্তি দেয়া হয় ।