টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এসিল্যান্ডের গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতারকৃত ৯জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকালে কালিহাতী আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপন কুমার দাশ তাঁদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮জুলাই সোমবার বিকালে উপজেলার কুর্শাবেনু এলাকায় নিউ ধলেশ্বরী নদীর উত্তোলিত বালু (ড্রেজড ম্যাটারিয়াল) পরিমাপকারীদের উপর হামলা চালায় স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে তাঁরা এসিল্যান্ডের গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রকৌশলী আহত হয়। এঘটনায় একই দিন রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (শাখা কর্মকর্তা) রবিউল আওয়াল বাদী হয়ে ১২জনের নাম উল্লেখসহ ২০০-২৫০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহারভুক্ত আসামীদের মধ্যে আমিনুর রহমান (৪৫), মো. আজিম মিয়া (২৬), মিন্টু মিয়া (৫৬), আব্দুর রাজ্জাক (৫৫), আব্দুল মান্নান (৪০) শরিফুল ইসলাম (২৭), সাইফুল ইসলাম (৩৫), মো. মারুফ (১৯) ও আমিরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। মঙ্গলবার বিকালে আদালত তাঁদেরকে জেলহাজতে পাঠায়।
টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পরিদর্শক মো. তানভীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান থানা পুলিশ প্রতিবেদন দিলেই দ্রুত রিমান্ড শুনানী হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্তর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক উত্তোলিত বালু ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায়। এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেডের সাথে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মধ্যে চুক্তিও সম্পাদিত হয়। উত্তোলিত বালু পরিমাপ করতে কুর্শাবেনু এলাকায় যায় সংশ্লিষ্টরা। এ সময় স্থানীয়রা পাউবোর ৪-৫ জন কর্মচারী ও মেসার্স আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ডিজিএম মোস্তাফিজুর রহমানকে কাজে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাঁদের উপর হামলা করে।
খবর পেয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুল হাসান কুর্শাবেনু এলাকায় যায়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা এ্যাসিল্যান্ড ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।