টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে তুচ্ছ বিষয়ে হাতাহাতির ঘটনা মিমাংসার সালিশে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় গত শনিবার ১৬জুলাই বিকালে কালিহাতী থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এর আগে গত শুক্রবার (১৫জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার আগচিনামুড়া গ্রামের একটি বাড়িতে সালিশে এআক্রমণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত সাতজনের মধ্যে মুরাদ খান মারাত্মক আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বাকি আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে রয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, গত ১৪জুলাই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় চিনামুড়া ঈদগাহ ও গোরস্থান কমিটি নিয়ে জনের সাথে বিতর্কের সময় সোহেল ও মুরাদ রাজিবকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এসময় জন ও সোহেলের সাথে তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনা মিমাংসার জন্য পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্দুস সালাম খান পিন্টুর বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমান খান দাউদের সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক বসে। সালিশের শেষ পর্যায়ে একটি আপত্তিজনক কথায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে লাজু, বুলবুল, শাফি, শফি, জনি, জনের মা-বোন ও জন (তৃতীয় পক্ষ) সেলিম, সোহেল, মুরাদ, সিয়াম, রিয়াম, লিপি ও শেফালী খানমের ওপর শাবল নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ করেন। এসময় মুরাদ মাটিতে পড়ে গেলে তাঁর মাথায় ইট দিয়ে পরপর কয়েকটি আঘাত করে মারাত্মক আহত করেন। বাকি সেলিম, সোহেল, লিপি ও শেফালী খানমের কামড়িয়ে আহত করে। সিয়াম ও রিয়াম অল্পের জন্য শাবলের আঘাত থেকে রক্ষা পায়। এসময় অভিযুক্তরা আব্দুস সালাম খান পিন্টুর বাড়িতেও ভাঙচুর করেছে বলে জানান পিন্টু। হামলা করে চলে যাবার সময় তাঁরা গ্রামের সকলকে মারার হুমকি দিয়ে চলে যায় বলেও জানান তিনি।
এঘটনায় অভিযুক্ত লাজু, বুলবুল, শাফি, শফি, জনি, জনের মা-বোন ও জনদের বক্তব্য নেয়ার জন্য বাড়িতে গিয়ে ও মুঠোফোনেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
সালিশ বৈঠকের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমান খান দাউদ এবিষয়ে বলেন, সালিশ একদম শেষ পর্যায়ে এমন সময় লাজু, বুলবুল, শাফি, শফি, জনি, জনের মা-বোন ও জনেরা পূর্বের ওদের বিরোধের জেরে অতর্কিত আক্রমণ করেন।
কালিহাতী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান সেখ এবিষয়ে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।