টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কম্পিইটারের সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর অজুহাতকে কেন্দ্র করে শিহরাইল ও গোপালপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে জহিরুল ইসলাম নিহত হওয়ার মামলায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন গোপালপুর গ্রামের মোসলেমের ছেলে পাভেল, শহিদের ছেলে জসিম, অক্কু মিয়ার ছেলে জামাল, বাবলু মিয়ার ছেলে আজগর ও আব্দুল খালেকের ছেলে রাসেল।
বৃহস্পতিবার (৩০জুন) ভোরে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে কালিহাতী থানা পুলিশ। এর আগে একই মামলায় গত ২৮মে পাইকড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়া ের্ডর ইউপি সদস্য ফরমান আলীসহ একই এলাকার ছোটন ও বলরামকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এপর্যন্ত এঘটনায় আটজনকে আটক করলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আল- আমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬মে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় উপজেলার গোপালপুর (নতুন) পাইলট বাজারে কম্পিইটারের সাউন্ড বক্সে উচ্চ শব্দে গান বাজানোর অজুহাতে শিহরাইলের আাজিজুল গোপালপুর গ্রামের রাসেলের গায়ে গরম চা ঢেলে দেয়ার ঘটনায় বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এঘটনার জেরে পরদিন ২৭মে শুক্রবার সকালে শিহরাইল গ্রামের লোকজন গোপালপুর গ্রামে গিয়ে ইউপি সদস্য ফরমানসহ গোপালপুর গ্রামের লোকজনকে মারার সময় গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে সংঘর্ষে শিহরাইলের জহিরুল ইসলাম আকাশ নিহত হয় এবং উভয় পক্ষের পনের জন আহত হয়। নিহত জহিরুল ইসলাম আকাশের বাবা সাইফুল ইসলাম ১২ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে ওই দিন রাতেই একটি হত্যা মামলা করেন। পর দিন ২৮মে শনিবার পুলিশ হাসপাতাল থেকে হামলায় আহত পাইকড়া ইউনিয়নের ৯নং ইউপি সদস্য ফরমান আলীসহ একই এলাকার ছোটন ও বলরামকে গ্রেপ্তার করে।