বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সহিদুর রহমান খান মুক্তির আইনজীবি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজের কাছে জামিন আবেদন করলে জামিন মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।
পরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ মেয়র মুক্তির অক্সিজেন লেভেল কম থাকা, প্রোস্টেটে সমস্যা, কমরে ব্যাথা, হাটুতে ব্যাথা, থাইরোডে সমস্যা ও কিডনীতে সমস্যা থাকার কারনে পরে শর্ত সাপেক্ষে মেয়র মুক্তিকে অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন মঞ্জুরের সময় মেয়র মুক্তি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলার পরবর্তী তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি।
মেয়র মুক্তির আইনজীবি এডভোকেট বাকী মিয়া জানান,মেয়র মুক্তি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্নসমর্থন করে। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত কারাগারে থাকার কারণে উনি অসুস্থ হয়ে পরে। তার শারিরিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে টেস্ট করালে তার শরীরে বিভিন্ন রোগ পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে থাকে টাঙ্গাইল জেলা কারা চিকিৎসক। টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের চিকিৎসক জানায় যে মেয়র মুক্তি ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা কালীন তার অক্সিজেন 61% থেকে ৮১% কমে যায়। যে কোন সময় ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যেতে পারে। পরে তার শারীরিক অবস্থা সংকট পন্য হওয়ায় আদালতে তার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। পরে আজকে তার চিকিৎসার কথা পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজের কাছে জামিন আবেদন করা হয় চিকিৎসার জন্য। পরে বিজ্ঞ আদালত শর্ত সাপেক্ষে টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান মুক্তির অন্তবর্তী কালীন জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি টাঙ্গাইল বাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রাণী দাসের সাক্ষ্য গ্রহণ ছিল। তবে স্বাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সুচিকিৎসার দাবিতে আসামীর জামিন আবেদন করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মনিরুল ইসলাম ও বাদি পক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে বিচারক শর্ত সাপেক্ষে মুক্তিকে অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
সাবেক মেয়র মুক্তির চিকিৎসার বিষয়ে তার বড় ভাই সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমার ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ, যে কোন সময় যে কোন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হবে।