আগের মতো নেই বেঁচাকেনা নেই লোকের সমাগম।যে হাটে দোকানপাট আর লোকে লোকারণ্য ছিলো সেই হাট আজ জৌলুশ হারিয়ে ফেলেছে।
টাঙ্গাইলের সখীপুরের হাতিবান্ধা ইউনিয়নের চাকদহ হাটের অবস্থা এমনটাই দাঁড়িয়েছে।সপ্তাহে একদিন এই হাট হয়ে থাকে আর দিনটি হলো শনিবার। হাটের প্রত্যকটি স্থান ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ সেই হাট আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে বসেছে।যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপের কারণে আর আশে পাশে বাজার ঘাট হওয়াতে এই হাটের ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে হাটে পা ফেলার জায়গা ছিল না।সেই হাটে অল্প সংখ্যক মানুষ, কয়েকটি দোকান পাট নিয়ে বসে আছে। এক যুগ আগেও চাকদহ হাটে ছিল শত শত দোকান।এক দুই কিলোমিটার দূরে থেকে শোনা যেতো মানুষের সমাগমের শব্দ।সেই হাটের চিত্র পাল্টে গেছে।টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম হাটের মধ্যে একটি হাট ছিল চাকদহ হাট।
উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাঁশ বিক্রেতা লাল মিয়া বলেন, আমি প্রায় ৫০ বছর ধরে এই হাটে আসি।রাস্তা ঘাটের সমস্যা আর আশে পাশে বাজার ঘাট হওয়াতে আগের মতো বেঁচাকেনা নাই।এই হাটে আগে ধানের ব্যবসায়ীরা ধান ক্রয় করতো।যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে এখন আর ধান ব্যবসায়ীরা আসে না।
লোহা বিক্রেতা আশুতোষ সাহা বলেন,হাটে তিন ভাগের এক ভাগ মানুষও হয় না।বেঁচাকেনা নেই আশে পাশে বাজার ঘাট আর যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ। যার জন্য মানুষ আর দূর-দূরান্ত থেকে হাটে আসে না।
হাটে আসা ক্রেতা আল আমিন বলেন,আগে দেখতাম মানুষের পা ফেলার জায়গা ছিল না।দাদার সাথে ছোট বেলায় যখন হাটে আসতাম দাদা আমার হাতটি ছেড়ে দিতো না যদি হারিয়ে যায়।আর এখন হাট হয়ে গেছে বাজারের মতো।হাট থেকে আমার বাড়ি ১ কিলোমিটার দূরে। বাড়ি থেকেই শোনা যেতো মানুষের সমাগমের শব্দ।
চাকদহ হাটের ইজারাদার সোরহাব হোসেন বলেন,যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় এই হাটের অবস্থা খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।তিন ভাগের এক ভাগ মানুষও এই চাকদহ হাটে হয় না।হাতেগোনা কয়েকটি দোকানপাট আসে এই হাটে।এখন শুধু নামেই হাট হয়।বেঁচাকেনা নেই বললেই চলে।ব্যবসায়ীরা ঠিক মতো মালামাল নিয়ে আসতে পারে না যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপের কারণে।এই হাটে ধান ক্রয় করা হতো। ধান ক্রয় করা বন্ধ রয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপের কারণে।
সখীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ ফজলুর রহমান ফাইজল বলেন,যে হাটে দোকান পাটের জায়গা দেওয়া যেতো না।সেই হাটে মানুষ হয় না।নেই আগের মতো দোকানপাট নেই বেঁচাকেনা।এখন মানুষ শৌখিন হয়ে পড়ছে মানুষ এখন ভ্যান অটোরিকশা ছাড়া চলতে পারে না।আর এই হাটে ভ্যান-অটোরিকশা কিছুই আসতে পারেনা।ছোট ও বড় যানবাহন দিয়ে মালামাল হাটে আনা যায় না।হাটের পূর্বে পাশে নদীর কবলে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে আর পশ্চিম পাশে নদীতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে মানুষ।যোগাযোগ অবস্থা ভালো হলে চাকদহ হাট আগের মতো তার ঐতিহ্য ফিরে পাবে।প্রাণ ফিরে পাবে চাকদহ হাট।