বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সার্বিক সহযোগীতায় ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ্ এর বেটার হেলথ্ ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের সরাসরি তত্বাবধায়নে দেশের ৩২ টি জেলায় মডেল মেডিসিন শপ স্থাপন ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ট্রেনিং কার্যক্রমের ধারাবাহিক অংশ হিসেবে ৪র্থ ব্যাচের প্রশিক্ষন টাঙ্গাইল জেলা থেকে ৩৫ জন প্রশিক্ষনার্থীর উপস্থিতিতে শুক্রবার ব্যতিত ৯ই নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে ২১ নভেম্বর রবিবার পর্যন্ত ১২দিন চলবে। প্রশিক্ষন কার্যক্রম প্রতিদিন দুপুর ২টা ৩০মিনিট থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
প্রশিক্ষন কর্মসূচীর অর্থায়ন করেছে ব্রিটিশ সরকারের ফরেন কমন-ওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস। সৈয়দ সরিফুল হকের সঞ্চালনার অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওষুধের গুনগত মান ঠিকরেখে গুড ডিসপেন্সিং প্র্যাকটিস নিশ্চিত করনের মাধ্যমে করোনা মহামারি কালীন সংক্রমন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রনে ফার্মাসিষ্ঠ ও ফার্মেসি টেকনিশিয়ানদের কার্যক্রম নিয়ে এই প্রশিক্ষনটির আয়োজন করা হয়েছে।
ওষুধ সঠিকভাবে ডিসপেন্সিং অর্থ শুধুমাত্র রোগী বা গ্রাহককে ওষুধ দেওয়া নয়। ওষুধ ডিসপেন্সিং মূলত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সর্বশেষ ধাপ যেখানে রোগী, গ্রাহক সেবাদানকারী ডিসপেন্সারের সাথে মুখোমুখি হন। এখান থেকে একজন ডিসপেন্সার সঠিক রোগীদের, সঠিক ওষুধ, সঠিক মাত্রা, সঠিক পরিমানে, সঠিক মোড়কে প্রদান করে। ডিসপেন্সিং এর উপর অনেক সময় রোগীর বা গ্রাহকের চিকিৎসার ফলাফল নির্ভর করে অর্থাৎ রোগী ভালো হবে কিনা বা কত দ্রুত ভালো হবে তা সঠিক ডিসপেন্সিং এর উপর নির্ভর করে।