সিএনজি চালিয়ে বারো বছরের সপ্তম শ্রেনী পড়ুয়া ছেলে তাওহীদ ও ছয় বছরের চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে তাকওয়াকে প্রতিষ্ঠিতি করার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকার কথা বাবা তোতা মিয়ার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সে নিজেই এখন বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। দুটো কিডনিই বিকল হওয়ায় প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌর এলাকার কালিহাতী গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া। বেঁচে থাকার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। প্রায় দুই বছর যাবৎ দুটি কিডনিই অকার্যকর হওয়ায় নিয়মিত ডায়ালাইসিস সেবা নিচ্ছেন তিনি। ডায়ালাইসিস ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় বাবদ প্রতিমাসে তার খরচ হচ্ছে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্যও প্রয়োজনীয় অর্থ এবং দাতা না থাকায় কিডনি প্রতিস্থাপনও করাতে পারছেনা পরিবার। চিকিৎসা ব্যয়ের জোগান দিতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তোতার পরিবার। বর্তমানে অর্থাভাবে নিয়মিত ডায়ালাইসিস বন্ধ হওয়ার পথে। তোতা মিয়া রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিসিস এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বাবা ময়েজ উদ্দিন জানান, তোতার চিকিৎসায় এর মধ্যেই প্রায় সাতলাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। আরও চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। জানা যায় ডায়ালাইসিস ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রতিমাসে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০হাজার টাকা করে। আমার পক্ষে এ টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না, তাই সমাজের ধণাঢ্য, বিত্তবান, মাননীয় সমাজকল্যাণ ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করি।
কালিহাতী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিদ্দিক হোসেন জানান, প্রায় দুই বছর আগে তোতার দুইটি কিডনি অকেজো হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে আছেন তোতা মিয়া।সুস্থ থাকাবস্থায় সিএনজি চালিয়ে সংসার চালাতেন তিনি। ভালো ভাবেই চলছিল তার সংসার। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়ল, যা সত্যিই দুঃখজনক। তার বাবাও অসুস্থ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তোতা। তার বাবার সামর্থ্য নাই তাকে চিকিৎসা করার। সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা মো. তোতা মিয়া সঞ্চয়ী হিসাব নং-০৯৭৬০১০০১২৫৭৭, রুপালী ব্যাংক, কালিহাতী শাখা, টাঙ্গাইল। বিকাশ নম্বর-০১৭৪২১১৩১৫৩।