আগষ্টের শুরু থেকে দেশের সকল ধরণের পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানায় কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য যাত্রীবাহী সকল ধরনের যানবাহন চালু করা হয়েছে। এ যানবাহন চালু হলেও কমেনি মানুষের ভোগান্তি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকরা যার-যার কাজে ফিরতে গত শুক্রবার রাত থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
রোববার (১ আগষ্ট) থেকে তাদের কর্মস্থলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যারা আজ কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেনি তারা সোমবার (২ আগষ্ট) কর্মস্থলে যোগ করতে আজ সকাল থেকেই দূরপাল্লার বাসগুলোর পিছে ছুটছেন। যারা আজ কর্মস্থলে যোগ করেছেন তারা শনিবার তিনগুণ ভাড়া দিয়ে গিয়েছেন। আজ যারা যাচ্ছেন তারা দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ী বাস ষ্ট্যান্ড চত্বরে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। ঢাকার উদ্দ্যেশে ছেড়ে যাওয়া শেরপুর, জামালপুর ও ধনবাড়ীর বাসগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে ছেড়ে যাচ্ছে। বাসগুলো ছেড়ে গেলেও যাত্রীরা ব্যাপকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শনিবার (৩১ জুলাই) তিনগুণ ভাড়া দিয়ে গেলেও রোববার (১ আগষ্ট) দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে। এছাড়াও বাসগুলোতে গাদাগাদি করেই যাচ্ছে তারা। স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা চাকুরী বাঁচাতেই তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন।
এছাড়াও বাসের সুপারভাইজার ও সহকারীরা যাত্রী দেখলেই হাত ধরে নিয়ে টেনে-হেঁচড়ে বাসে উঠাচ্ছে। একজন যাত্রীকে একাধিক বাসের সুপারভাইজার ও সহকারীরা তাদের বাসে উঠানোর জন্যও টানাটানি করতে দেখা যায়।
পোশাক শ্রমিক মনির হোসেন, আমজাত আলী, মিতু আক্তার ও বসির মিয়া জানান, আজ বাসের যাত্রী কম থাকলেও আমাদের ব্যাপকভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। চাকুরী বাঁচাতেই কর্মস্থলে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মো. চাঁন মিয়া বলেন, বিভিন্নভাবে যাত্রীদের পরামর্শ ও সচেতন করে বলা হচ্ছে তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শৃঙ্খলার সাথে যার-যার কর্মস্থলে ফিরেন।
এস/এস/এস