টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নদী থেকে নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে৷ ধসে পড়েছে এলেংজানী নদীর উপর ব্রীজের এ্যাপ্রোচ সড়ক। এতে চলাচলে চড়াঞ্চলের ৩টি উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ ব্রীজের পশ্চিমাংশের এ্যাপ্রোচ সড়কটি ধসে নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
উপজেলার দেওলী ইউনিয়নের স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের সিলিমপুর-বাবুপুর সড়কের এলেংজানী নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটি চড়াঞ্চলের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলক। এ ব্রীজটি ব্যবহার করে নাগরপুর চৌহালী ও দেলদুয়ার উপজেলার ২০টি গ্রামের মানুষ টাঙ্গাইল হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকে। ভারী যানবাহনের তেমন একটা চলাচল না থাকলেও হালকা যানবাহনে ১৫-২০ কি.মি. দুরের মানুষও এ সড়ক ব্যবহার করে শহরমূখী হয়।
দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী না করলে নির্মান সামগ্রী বহন ও চলাচলে এলাকার একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠি চরম দুর্ভোগে পড়বে। যার প্রভাব পরবে এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডেও। এমন মন্তব্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান তাহমিনা হকের।
দেওলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন বলেন, ব্রীজের সন্নিকটে এলেংজানী নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে ব্রীজটি অনেক আগেই ঝুঁকির মুখে পড়ে। ব্রীজসহ রাস্তাটি রক্ষায় আশপাস থেকে মাটি উত্তোলন না করার জন্য বহুবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। কিন্তু মাটি উত্তোলনকারীরা দাপুটে প্রভাবশালী হওয়ায় উত্তোলন বন্ধ হয়নি। যার ফলে আজ এই বিপর্যয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছেদ বলেন, সিলিমপুর ব্রীজের এ্যাপ্রোচ সড়ক ধসের খবর পেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যত দ্রুত সম্ভব ধসে যাওয়া স্থান সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করতে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।