টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের ভাতকুড়া গ্রামের রাস্তাটি ভেঙে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে জনসাধারণ। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ভেঙে যাওয়ায় আরও বিপাকে পড়েছে এ রাস্তার চলাচলকারীরা।
রাস্তাটির ভাঙা অংশ মেরামত না করায় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকেন পার্শ্ববর্তী মুশুদ্দি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। রাস্তাটিতে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘেষে বয়ে গেছে বৈরান নদী। এ নদী থেকে মাটি উত্তোলন করে পাশের বাঁধ নিমার্ণের কারণে রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে। এ ইউনিয়ন দুটি মূলক কৃষি প্রধান এলাকা। কৃষকরা তারা তাদের উৎপাদিত সকল কৃষিপণ্য এ রাস্তা দিয়ে ধনবাড়ী বাজারে বিক্রির জন্য আসেন। এ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা তাদের কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ রাস্তার এমন চিত্র। এ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা এ রাস্তা দিয়ে ধনবাড়ী শহরে যাতায়াত করেন। বর্ষার বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়া তারা বিপাকে পড়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রাস্তটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্তারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মামুন মিয়া, ফজলু হক ও ঠান্ডু মন্ডল জানান, এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কটি ভেঙে নদীর দিকে চলে যাচ্ছে। নদীটি পুনঃখননের সময় নদীর একপাশ থেকে মাটি উত্তোলন করে অন্য পাশে বাঁধ দেয়া হয়। এতে করে নদীর গভীরতা আরও বেড়ে যায়। এ কারণে রাস্তা এ অবস্থা হয়েছে। কাজেই অতি তাড়াতড়ি সংস্কার করা জরুরী।
অটোভ্যান চালক আব্বাস আলী জানান, এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা খুবই অসুবিধা হয়ে পড়েছে। এটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলায় যাতায়াত করা গেলেও রাতে অনেক সমস্যা হয়।
এ ব্যাপারে পাইস্কা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূর আহমেদ জানান, এ রাস্তা দিয়ে আমাদের চলাচল করা অনেক কষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তা ভাঙার কারণে যানজটের সৃস্টি হয়। রাস্তাটি যাতে তাড়াতাড়ি ঠিক করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি ইউয়ন পরিষকে জনানো হয়েছে। উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদেরও জনানো হবে।
এ ব্যাপারে পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আব্দুল বারি জানান, রাস্তাট আমরা পরিদর্শন করে এলজিইডিকে জানিয়ে ছিলাম। তারা এসে দেখে গেছেন।
এ ব্যাপার ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন সাগর জানান, রাস্তাটি পরিদর্শন করে সংস্কারের জন্য আমরা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। সিগগিরই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।