তৌহিদুলের প্রবাসে মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই কান্নাকাটি থামছে না টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সাবুল কুড়া গ্রামে তার পরিবারের।
তিনি দেশে ফিরে আসার উদ্দেশ্যে গত মাসে এয়ারপোর্টে এসে ইমিগ্রেশনে অসুস্থ হয়ে পরেন।পরে তাকে এয়ারপোর্ট থেকে সৌদিআরবে দাম্মাম শহরের মার্কাজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।পরে প্রবাসী আব্দুস সবুরের টেলিফোনে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
বর্তমানে তার তার লাশ মার্কাজি হাসপাতালে সংরক্ষিত রয়েছে।
গ্রামের বাড়ি সাবুল কুড়া গিয়ে দেখা যায় স্ত্রী আলপনা বেগম বাক প্রতিবন্ধি এক ছেলে এক মেয়েকে বুকে জড়িয়ে আছে, জানা যায় স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে এখন পর্যন্ত এভাবেই আছেন আলপনা। পরিবারে একমাত্র উপার্যনের ব্যাক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা বাকি সদস্যরা।
এ বিষয়ে তৌহিদুলের ভাতিজা সোহাগ জানান আমার কাকা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তাকে দেশে আনার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছি, তাকে জীবিত অবস্থায় আনতে পারি নাই এখন তো সে মারা গিয়েছে, আমরা কাকার লাশটি দেশে এনে গ্রামের বাড়ি ভূঞাপুরের সাবুলকুড়া গ্রামে দাফন সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসী কল্যাণ ভবন বরাবর সৌদি আরব প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী তৌহিদুল ইসলামের মৃত দেহ দেশে প্রেরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং তারা দ্রুত লাশ দেশে আনার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন।