বসন্ত মানেই সব শূন্য সাদা রঙের মাঝে যখন রঙ আর রূপের আলো নিয়ে গাছে গাছে শুধুই ফুলের ছড়াছড়ি। প্রজাপতি আর মৌমাছি নাচবে ফুলে ফুলে, আরোহণ করব মধু, দক্ষিণে ভ্রমণ শেষে ফিরে আসা পাখিদের সাথে গল্প কথায় আনন্দে।
প্রকৃতির এত রূপ বসন্তের আগেই মনে বসন্তের আলোড়ন এনে দেয়। বসন্ত মানে ফুল ফোটার দিন, উপলব্ধি অনুভুতির গহীনে প্রসার বিস্তার করে বাস্তব সাক্ষাতে। অবাক বিষ্ময়ে প্রতি বছর একই ভালোলাগায় মাতে সবাই। ফুলের বনে হেসে গড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে গ্রীষ্ম, শীত ও বর্ষা এই তিন ঋতুর পার্থক্য সহজে বোঝা যায়। বাকি শরৎ, হেমন্ত, বসন্ত, কেমন মিলে মিশে যায়। এই যে শীত পেরোয়নি কিন্তু বসন্ত আভাস দিচ্ছে, বাগানে ফুল ফোটা শুরু হয়ে গেছে কিছুদিন আগে থেকেই।
নিস্বর্গবিদরা বলছেন, আবহাওয়ার হেরফেরে এ বছর ফাগুন আসার আগেই বসন্তের ফুল।
মাঘের শেষ প্রান্তিকেই রাজধানী সেজেছে রক্ত রাঙা পলাশে। শুষ্ক রুক্ষ শীতের আড়মোড়া ভেঙ্গে এবার আগেভাগেই বসন্তের আগমনী বার্তা। গ্রামবাংলার অতি পরিচিত ফুল শিমুলও ফুটেছে রাজধানীতে। রক্ত রঙা শিমুলের কচি পাপড়ি খেতে কাঠ শালিকের ছোটাছুটি ।
শীতের অলস সকালে রাজধানীবাসী যখন কম্বল মোড়া, ঠিক তখন শান্ত রোদ গায়ে মেখে প্রকৃতি রাঙ্গাচ্ছে রুদ্র পলাশ। যদিও মাঝে মধ্যে ফেব্রুয়ারিতেও ফোঁটে এই ফুল। কিন্তু এবার জানুয়ারির শেষ থেকেই নিজেকে মেলে ধরেছে পলাশ।
শ্বেত শিমুল বা বর্মি শিমুল অনেকের কাছেই অপরিচিত। এক পায়ে দাঁড়িয়ে শ্বেত শিমুল শুভ্র সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় এই মৌসুমে। তবে নিস্বর্গবিদরা মনে করেন, ঋতু চক্রে পালাবদলের সাথে সাথে বাংলার প্রকৃতিত আসে ভিন্নতা। তাই মৌসুম ভেদে বিভিন্ন ফুলের সাথে নতুন প্রজন্মক পরিচয় করিয়ে দেয়া জরুরি।
ইট কাঠের জঙ্গল আর খোড়াখুড়ির যন্ত্রণায় রাজধানীবাসীর মনে প্রশান্তির দোলা দেয় প্রকৃতির এই নৈবেদ্য। মহানগরীর হাতিরঝিল, রমনা পার্ক, বোটানিক্যাল গর্ডেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ঘুড়লেই দেখা মেলে বাহারি সব বাসন্তি ফুলের।