করোনাকালে সব ধরনের মানুষের আয় কমেছে। এর মধ্যে বাজারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। তাই সরকারি সংস্থা টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা রোদে পুড়ে হলেও খোলা বাজারে পণ্য কিনছেন সাধারণ ভোক্তারা। কারণ একটাই বাজার মূল্যের চেয়ে মিলবে কম দাম।
রমজান উপলক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় বাসাইলেও ছয়টি পণ্য বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পণ্যগুলো হচ্ছে : ছোলা, চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল খেজুর ও পেঁয়াজ।
ভ্যান চালক সজিব এসেছেন ট্রাক থেকে তেল, ছোলা, পেঁয়াজ কিনতে। তিনি বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। একটু কম দামে মাল কিনতে অনেকক্ষণ ধরে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। কিনতেও পেরেছি। কষ্টটা স্বার্থক হলো।’
লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনা আরেক ক্রেতা সজিব বলেন, আমার বাড়ি কাঞ্চনপুর ছনকাপাড়া। এখানে দেখলাম টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনলাম। ঘণ্টাখানেক সময় লেগেছে। এক কেজি করে মশুর ডাল, চিনি ও দুই লিটার তেল কিনলাম ৩১০ টাকা দিয়ে। তিনি বলেন, রান্নার জন্য তেল প্রতিদিনই লাগে। বাজারে এক লিটার তেল কিনতে ১৪০টাকা লাগে। এখান থেকে দুই লিটার কিনলাম ২০০ টাকা দিয়ে। তাই কষ্ট ও সময় লাগলেও লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনলাম।
টিসিবি ট্রাকের প্রিন্স বলেন একজন ক্রেতা দিনে ৫৫ টাকা কেজি দরে চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে সয়াবিন তেল, ২০ টাকা দরে পেঁয়াজ, ৫৫ টাকা দরে ছোলা এক কেজি খেজুর ৮০ টাকা দরে কিনতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, ‘যথেষ্ট পণ্য নিয়ে এখানে এসেছিলাম। আমরা তো সবাইকে মাল দিতে চাই। কিন্তু ক্রেতার চাপ অনেক বেশি। এজন্য সবাইকে দিতে পারলাম না।’
সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা কি জোর করে ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব মানাতে পারি? যদি তারা না চান। আর দেখলেন না, তারা মাল কিনতে ট্রাকের ওপর উঠে যেতে চাইছে। কেমনে তাদের আমরা সামলাই।’