বাঙালী হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সারাদেশের মত টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নে জমজমাট পুজোর আয়োজন করেছেন দূর্গাপুজা মন্ডপ কমিটি।
এ ইউনিয়নে মোট ১০টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে, এর মধ্যে মিরিকপুর ৬টি, হান্দুলীপাড়া ২টি, রাশড়া ২টি। মিরিকপুর ইউনিটি ইউনিভার্সাল ক্লাবের পুজা মন্ডপ ও মিরিকপুর সূত্রধর পাড়া মা সংঘের পুজা মন্ডপ অন্যতম।
মিরিকপুর ইউনিটি ইউনিভার্সাল ক্লাবের সভাপতি বাসুদেব সূত্রধর বলেন, আমরা আশা করি মহামায়া দেবী দুর্গা মায়ের আগমনে সকলে ভাল থাকবেন সকলের সুস্থ থাকবেন সেই প্রত্যাশায় আমরা প্রার্থনা করি যেন সারা বিশ্বে মহামারী করোনা ছোবল থেকে সকলকে মুক্ত করে এবং সকল অশুভ শক্তির বিনাশ করে শান্তির বার্তা বয়ে আনবেন দেবী দূর্গা। তিনি আরো বলেন, আমরা মায়ের আশির্বাদে নিয়ে মিরিকপুর ইউনিটি ইউনিভার্সাল ক্লাব পক্ষ থেকে বড় বাজেটের পুজার আয়োজন করেছি, আশা করছি বাসাইল উপজেলার প্রথম হবো এবং সবাইকে আমাদের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ ও শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারাজেলায় উৎসাহের আমেজ শুরু হয়ে গেছে একমাস আগে থেকে। এবার উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ৬০ টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে বাসাইল পৌরসভায় ১৬, বাসাইল সদর ১০, কাউলজানী ৪, কাঞ্চনপুর ৭, ফুলকী ৭, হাবলা ৯, কাশিল ৭টি মন্টপে পুজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
আজ মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) মহা সপ্তমী, পরশু বুধবার (১৩ অক্টোবর) মহা অষ্টমী, বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) মহা নবমী এবং শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমী পূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে এই উৎসবের।
উপজেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও দায়িত্ব পালন করছেন।