বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কালিহাতীর মানুষের সমর্থন চেয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মানুষের কল্যাণের আন্দোলন নয়, সে আন্দোলন দেশকে পুনরায় পাকিস্তান বানানোর আন্দোলন। এর বিরুদ্ধে আমি লড়াইয়ে নেমেছি, কালিহাতীবাসীর সাহায্য চাই, সমর্থন চাই।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী আর.এস সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি সমর্থন করুন, তাহলে আপনাদেরকে স্পষ্ট করে বলি নৌকা বলুন, ধানের শীষ বলুন, লাঙ্গল বলুন, গামছা বলুন, কাস্তে-হাতুড়ি বলুন যা কিছু আছে সবকিছুকে ট্রাকে তুলে জনগণের বিজয় মিছিল করবো। এসময় তিনি জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু, জয় মহান মুক্তিযুদ্ধ, জয় শেখ হাসিনা, জয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, শেখ হাসিনা-কাদের সিদ্দিকী এগিয়ে চল আমরা আছি তোমার সাথে স্লোগান দিয়ে বলেন আওয়ামী লীগ যদি তেরো দলের সঙ্গে জোট করতে পারে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী আমার ভাইয়ের সাথে জোটবদ্ধ হতে পারিনা’।আমি বঙ্গবন্ধুর কর্মী, বঙ্গবন্ধুর পায়ের তলায় বসে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের আন্দোলন করেছি। আপনাদের ভালবাসায় ৭০’র নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকে সংগঠিত করতে পেরেছি। ২০১৮তে যখন আমার গাড়ি ভাঙা হয় তখন চলে গিয়েছিলাম। কেউ কেউ প্রচার করছে আমি গামছা নিয়ে এসেছি। বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালবাসে আমি তাদেরকে ভালবাসি, তাদের সাথে একত্রে চলতে আমার কোনও সমস্যা নাই। আমি কোনও দলে যোগ দেব না, কিন্তু কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আমৃত্যু থাকবো।
উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, সাবেক এমপি লায়লা সিদ্দিকী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সঙ্গীত শিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস, সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী। এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ ছাত্র আন্দোলন ও যুব আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। হাজার হাজার জনতার ঢলে জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে পাশের মহাসড়ক ও সড়কে ছাপিয়ে যায়।