মৌসুমের শেষ সময়ে আমন ধান রোপন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কালিহাতীর কৃষকেরা। এবার উপজেলায় ৫হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২০হাজার ৫৫০ হেক্টর (১১আগস্ট পর্যন্ত) জমিতে রোপন করা হয়েছে। তুলনামূলক উঁচ জমিতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার সকল এলাকায়ই এবার ব্যাপকভাবে রোপা আমন চাষ হচ্ছে। গেলো দুই বছরে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে রোপন কম হয় ও ফলন ভালো হয়নি। এবার উপজেলায় বন্যা না হওয়ায় ও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চার গুণ হয়েছে। রোপা আমনের বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
গত বৃহঃস্পতিবার বিকেলে কালিহাতী পৌর এলাকার সিলিমপুর গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন আমন ধানের জমিতে সার দিচ্ছিলেন। সে সরকারি সা’দত বিশ^বিদ্যালয় কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী। বিল্লাল হোসেন এবার ১২ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করছেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি ও পানি কম, বন্যার পানি ওইরকম নাই, ক্ষেতে ধান মোটামুটি ভালোই দেখা যাচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক এবার ৫বিঘা জমিতে কালিজিরা, পাইজাম জাতের রোপা আমন ধান চাষ করছেন। কৃষক আব্দুল খালেক বলেন ঠিক মতো (স্বাভাবিক) বৃষ্টি হয় তাহলে এবার বাম্পার ফলন হবে। তবে ভারী বৃষ্টি ও বন্যা হলে ক্ষতি হওয়ার ভয়ও আছে। মাঝ খানে দুই বৎসর আমন ধানের বিরাট মাইর খাইছি, বন্যায় আমগোরে সকল ধান খাইয়া দেয়।
কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, আল্লাহ এইবার ভারী বৃষ্টি ও বন্যা এহনও দেয় নাই, মালিক দিলে এইবার আমরা আমনের ভালো ফলনের আশা করতেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবছর বন্যা না হওয়ার ফলে রোপা আমন রোপন ও উৎপাদনের লক্ষমাত্রা কয়েকগুণ ছাড়িয়ে যাবে। রোপা আমনের বাম্পার ফলনের লক্ষে মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা রোগ-বালাই ও পোকা দমনে সব সময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।