টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কী ইউনিয়ন বিএনপি’র ইফতার মাহফিল ও যুবদলে সন্মেলনে সাংগঠনিক নীতিমালা ভঙ্গ করে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করায় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার বিএনপির জামুর্কী ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ভোটারদের মতের বিরুদ্ধে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষনা করায় ভাঙচুর তান্ডব শুরু করে যুবদল নেতা কর্মীদের একাংশ। ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলস্থলেই যুবদলের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত যুবদল নেতাকর্মীদের দাবি জেলা যুবদলের দুই যুগ্ন-আহবায়ক জাহিদ হোসেন মালা অপরজন সজল হোসেন কোন কাউন্সিলর বা ভোটাদের মতামত ও ভোট ছাড়াই মনজুর হাসান’কে সাংগঠনিক নীতিমালা বহির্ভূতভাবে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষনা করে বিধায় যুবদলের একাংশ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে সম্মেলন প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপক ভাংচর চালায় বলে জানা যায়।
আরও জানা যায়, বিক্ষুব্ধ যুবদল নেতাকর্মীরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও থানা যুবদলের সদস্য সচিব ডিএ মতিন কে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল ও জামুর্কী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম মোক্তারের হস্তক্ষেপে এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হওয়া কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী’র নির্দেশে জামুর্কী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদটি স্থগিত রাখার নির্দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সাধারণ সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মীর জাহিদ বলেন, আমি হতাশ কারন দলের ভোটারদের মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে ব্যক্তিগত মতাদর্শে স্বেচ্ছাচারী মনোভাবে সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনা করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। দলের সিনিয়র নেতাদের এহেন আচরণ দলের জন্য অশনিসংকেত বটে, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। আশা রাখি খুবদ্রুত স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে সন্মেলন সম্পন্ন করা হবে।
এবিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক মনির শিকদার পলক বলেন, আমার প্রত্যাশা সাংগঠনিক নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে খুব দ্রুত স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে জামুর্কী ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন সম্পন্ন করবেন দলের নীতিনির্ধারকেরা।