টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে হত্যার অভিযোগে এক মাস ২৫ দিন পর কবর থেকে মৌসুমী আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের ভাতকুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। আদালত লাশটি ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেনের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশটি তোলা হয়। মৌসুমী আক্তার ওই গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মাসুদ মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর আগে মির্জাপুর উপজেলার ভাতকুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে পাশের বাসাইল উপজেলার পাটখাগুরি গ্রামের মহিম উদ্দিনের মেয়ে মৌসুমী আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় আড়াইমাস পর মাসুদ আবার সিঙ্গাপুরে চলে যায়। এর কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন কারণে তার শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে অত্যাচার শুরু করে। এরপর চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর হঠাৎ করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাবার বাড়িতে মৌসুমীর অসুস্থতার কথা জানায়। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে জানায় মৌসুমী হাসপাতালে মারা গেছে। তখন শ্বশুরবাড়িতে তড়িগড়ি করে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। লাশ দাফনের পরেরদিন মৌসুমীর পরিবার জানতে পারে, মৌসুমীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় মৌসুমীর বাবা মহিম উদ্দিন বাদি হয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ ও নুনদের জামাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দিলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেনের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ তোলা হয়। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত মৌসুমীর আত্মীয় বাসাইল উপজেলার টেঙ্গুরিয়াপাড়া ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ খান বলেন, ‘মৌসুমী অসুস্থ্য ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয় সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর কিছুক্ষণ পর জানায় সে মারা গেছে। লাশটি ভালোভাবে দেখতেও দেয়নি তারা। তড়িগড়ি করে লাশ দাফন করা হয়। পরেরদিন জানতে পারি তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।’