টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়েছে। ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বংশাই নদীর ওপর চাঁনপুর সেতুতে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কা লাগে। এতে সেতুটির উত্তরপাশ থেকে তিন নম্বর পিলারে ফাটল দেখা দেয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খনন যন্ত্র (মাটি কাটার মেশিন) ও বড় একটি বলগেট আটক করেছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে বালু ব্যবসায়ী কবীর হোসেন ও কালিয়াকৈর উপজেলার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বংশাই নদীর মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই আত্মারামপাড়া ও চাঁনপুর এলাকায় খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন করে বড় বলগেট ভর্তি করছিলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বংশাই নদীর ওপর নির্মিত চাঁনপুর সেতুতে খনন যন্ত্র ও বলগেটের ধাক্কা লাগে। এতে সেতুটির উত্তরপাশ থেকে তিন নম্বর পিলারে ফাটল দেখা দিলে উত্তেজিত জনতা সেতুর ওপর থেকে বলগেট ও খনন যন্ত্রে থাকা শ্রমিকদের লক্ষ করে ইটপাটকেল মারতে থাকে। এতে পটুয়াখালীর দশমিনা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ও ফরিদপুরের বোয়লমারি এলাকার মো. মুছা মিয়া ও রবিন ইসলাম আহত হন। স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ এ কল দিয়ে অভিযোগ করলে সন্ধায় মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. একরাম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বলগেট ও খনন যন্ত্রটি আটক করে স্থানীয় লোকজনের জিম্মায় রেখে আসেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বালু ব্যবসায়ী কবির হোসেন ও জাকির হোসেন যে ভাবে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করছিলেন তাতে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, এই এলাকার নদী পাড়ের কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর হুমকির মধ্যে পড়বে। বর্ষায় ছোট নদীতে বড় খনন যন্ত্র দিয়ে যাতে বালু উত্তোলন না করা হয় সেজন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. একরাম হোসেন জানান, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খনন যন্ত্র ও বলগেট আটক করার পর স্থানীয় নিয়াজ আলী নামে এক ব্যাক্তির জিম্মায় আখা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, থানা পুলিশকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।