টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিভিন্ন বাজারে ও সখিপুর ফল পট্রিতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ । চৈত্র মাসের তাপদাহে এবং পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এই রসালু ফল তরমুজের। গত বছরের এই দিনে সখীপুরের বিভিন্ন হাটে ঘাটে ওজনে বিক্রি হচ্ছিল তরমুজ। তখনও আমরা লিখলাম এই ফলটির ব্যাপারে, প্রশাসনও উদ্যোগ নিলেন কাজ হলো কিছুটা। বন্ধ হলো তরমুজের ওজনে বিক্রি। আসলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্ষেত থেকে পিচ হিসেবে কিনে এনে বাজারে বিক্রি করছে ওজনে। যার কারণে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন শ্রেণির মানুষেরা। বিভিন্ন সময় খোজ নিয়ে যানা গেছে ওজনে বিক্রি করার কিছু কারণও উদঘাটন করা গেছে । সকল তরমুজই রঙ্গীন দেখা যাচ্ছে। এর কারণ কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রং মিশ্রিত পানি পুশ করে প্রত্যেকটি তরমুজের ভিতরে। এর ফলে এক/ দেড় কেজি বেশী ওজন হওয়ায় এবং ক্রেতাদের নজর কারায় বিষয়টি ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে ফলে, প্রতি নিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ জনসাধারণ । ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকার একটি তরমুজ পাইকারী কিনে এনে খুচরা বিক্রি করছে ২০০ থেকে ২৫০টাকা।
আজ সোমবার বিকেলে সখীপুরের ফল পট্রিতে প্রচন্ড ভীরের মধ্যে গিয়ে একজন ফল ব্যবসায়ীর কাছে তরমুজের কেনা বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানালো-ঢাকা চৌরাস্তা বাইপাস এর আরৎ থেকে তারা পাইকারীতে পিচ হিসেবে কিনে আনছেন। ওজনে বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান সবাই কেজিতে চান তাই ওজনে দেই, আবার কেউ পিস হিসেবে নিলে পিস হিসাবে দেই। সকল দোকানে একই সিন্ডিকেট ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছে । প্রশাসন দ্রুত অভিযান না চালালে এমন অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতারণা করে পাবলিকের পকেট কাটছে দিদারছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে বিষয়টির ব্যপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্টিকেট থেকে বাঁচানোর জন্য এবং তরমুজ যাতে ওজনে বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার জন্য সাধারণ ভোক্তাদের প্রাণের দাবী।