দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য মনোনয়ন চাইলেন চারজন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার (ঠান্ডু) এবং সাবেক ছাত্রনেতা মুরাদ সিদ্দিকী। এছাড়াও তিনি ১৩৪ টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনের জন্যও দলটির মনোনয়নের আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। মুরাদ সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ছোটভাই।
মনোনয়নের আবেদনপত্র বিক্রির প্রথম দিনে গত শনিবার ১৮ নভেম্বর দলটির ওয়েবসাইট থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের। পরদিন গত রোববার ১৯ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডিতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও অনলাইনে মনোনয়নের আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
দ্বিতীয় দিন গত রোববার ১৯ নভেম্বর ঢাকার ধানমন্ডিতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নের আবেদনপত্র কিনেন বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু। পরদিন বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে তাঁরা মনোনয়নের আবেদনপত্র জমা দেন।
অপরদিকে একই দিন টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী ও টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনের জন্য মনোনয়নের আবেদনপত্র কিনেন মুরাদ সিদ্দিকী। জমাদানের শেষদিন মঙ্গলবার তিনি মনোনয়নের আবেদনপত্র জমা দেন। মুরাদ সিদ্দিকী এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে পরামর্শক্রমে মনোনয়নের আবেদনপত্র কিনেন ও জমা দিয়েছেন বলে দাবী করেন। তিনি আরও বলেন মনোনয়নের আবেদনপত্র কেনা ও জমাদান প্রমাণ করে আমার আওয়ামী লীগের কর্মীর স্বীকৃতি।
জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদারও মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বর্তমান সাংসদ সোহেল হাজারী বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর আমি জনগণের পিছনে ঘুরেছি। আমার পেছনে জনগণকে ঘুরতে হয়নি। আমার সময়কালে কালিহাতীতে সর্ব্বোচ্চ উন্নয়ন কাজ করেছি। ইনশাআল্লাহ আমিই মনোনয়ন পাব। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের বাহিরে যাওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।