টাঙ্গাইলের বাসাইলে ঝিনাই নদীর ভাঙ্গন রোধে নব নির্মিত বেড়িবাধ পরিদর্শন ও ভাঙ্গন কবলিত কামুটিয়া পয়েন্টে ৪০০০ জিও ব্যাগ ফেলা কার্যক্রমের উদ্ভোধন করা হয়েছ।
মঙ্গলবার(২৭ জুলাই) বিকেলে বাসাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম ও বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর হোসেন ঝিনাই নদীর কামুটিয়া পয়েন্টে নব নির্মিত ৫০০ মিটার বেড়িবাধ পরিদর্শন করেন। এসময় কামুটিয়া পয়েন্টে বাধ সংলগ্ন ভাঙ্গন কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন, কাশিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা রাজিক, সাবেক চেয়ারম্যান খান বাহাদুর, পাউবো এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম ফারোয়ার সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ঝিনাই নদী বাসাইল উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রায় ২০ কিমি দুরত্ব অতিক্রম করেছে। গতবছরের বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝিনাই নদীর ভাঙ্গনে শত-শত ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। কামুটিয়া অংশে বাসাইল সখিপুরের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় এবছর আমরা ৫০০ মিটার দৈঘ্যের একটি বেড়িবাধ নির্মান করেছি। যা স্থানীয় কয়েকশত বাড়িঘর ও বহু ফসলি জমিকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করবে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর হোসেন বলেন, বাসাইলের ঝিনাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন রোধে আমরা ইতোমধ্যে বেড়িবাধ নির্মান করেছি, ৪০০০ জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রমের আজ উদ্বোধন করা হলো। ঝিনাই নদীর আদাজান বিলপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন পুর্বপাশে এবং মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি “বীর নিবাস ” সংলগ্ন ভাঙ্গন কবলিত অংশের জিও ব্যাগ ফেলার কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই শুরু হবে।
পরে তারা আদাজান, বিলপাড়া ও মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি বীর নিবাস সংলগ্ন ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।