1. admin@amadertangail24.com : md Hasanuzzaman khan : The Bengali Online Newspaper in Tangail News Tangail
  2. aminulislamkobi95@gmail.com : Aminul islam kobi : Aminul islam kobi
  3. anowar183617@gmail.com : Anowar pasha : Anowar pasha
  4. smariful81@gmail.com : ArifulIslam : Ariful Islam
  5. arnobalamin1@gmail.com : arnob alamin : arnob alamin
  6. dms09bd@yahoo.com : dm.shamimsumon : dm shamim sumon
  7. kplithy@gmail.com : Lithy : Khorshida Parvin Lithy
  8. hasankhan0190@gmail.com : md hasanuzzaman : md hasanuzzaman Khan
  9. monirhasantng@gmail.com : MD. MONIR HASAN : MD. MONIR HASAN
  10. muslimuddin@gmail.com : MuslimUddin Ahmed : MuslimUddin Ahmed
  11. sayonsd4@gmail.com : Sahadev Sutradhar Sayon : Sahadev Sutradhar Sayon
  12. sheful05@gmail.com : sheful : Habibullah Sheful
ধ্বংসের পথে যাচ্ছে মধুপুরের কলা চাষ - Amader Tangail 24
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ-
বিশ্ব শিক্ষক দিবসে গোপালপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা  উল্লাপাড়ায় শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে  বিএনপির সংবাদ সম্মেলন  এই প্রথম শিক্ষা ও শিক্ষকের উন্নয়নে  ইউনেস্কো-হামদান পুরষ্কার পেল গুড নেইবাইর বাংলাদেশ পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় কাজ করবে বিএনপি নেতাকর্মী কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবেনা: সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সখিপুরে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন কালিহাতীতে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ৩ জন টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪ গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আ. মোমেন গ্রেফতার, মিষ্টি বিতরণ উল্লাপাড়ায় একাধিক মামলায় আ’লীগ নেতা সহ ৭ আসামি গ্রেফতার  নাগরপুরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন, কুড়ালের কোপে প্রাণ গেল স্ত্রীর প্রথম আলো এসএমই পুরস্কার পেলেন টাঙ্গাইলের সাজিদ খান ঘাটাইলে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত গোপালপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে আলোচনা সভা ও র‍্যালি নাগরপুর দপ্তিয়রে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবী

ধ্বংসের পথে যাচ্ছে মধুপুরের কলা চাষ

মোঃ সাইফুল ইসলাম
  • প্রকাশ : রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২
  • ৬২৭ ভিউ

টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চল কলা চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানকার লালধূসর মাটি কলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। গত বছর মধুপুরের প্রায় ১০ হাজার একর জমিতে কলা চাষ করা  হয়। এক বছরে তা কমে দাড়িয়েছে ৭ হাজার হেক্টরে। ৩ হাজার হেক্টর কম।  এসব জমিতে সাগর , চম্পা, কবরি, সবরি,বিচিকলা,  আনাজকলা সহ কয়েক ধরনের কলা চাষ হত। কলা দেহের জন্য পুষ্টিকর। ফেলে দেওয়া কলা গাছের খোসা থেকে তৈরি হচ্ছে সোনালি আঁশ(বেনেনা  জুট)। যা শিল্পকারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হচ্ছে মূল্যবান তৈজসপত্র। ফলে তৈরি হচ্ছে একাধিক উদ্যোক্তা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির স্বপ্ন দেখছেন এসব তরুণ উদ্যোত্তারা।  কিন্তু  বর্তমানে কলা চাষের প্রতি চাষীদের আগ্রহ দিনদিন কমে যাচ্ছে। কলা চাষে অনেক অনেক টাকা ক্ষতি হচ্ছে মধুপুরের চাষীদের । স্বরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এর মূল কারন কলা চাষে অজানা এক ভাইরাস (পানামা) রোগ। যার ফলে প্রথমে কলা গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায় তারপর আস্তে আস্তে কলা গাছ নিস্তেজ হয়ে মারা যায়। এই ভাইরাসটি বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারন করছে কলাচাষে , প্রথমে কয়েটি গাছে ভাইরাস আক্রান্ত হয় তারপর সারা বাগানে ছড়িয়ে পড়ছে এই অজানা(পানামা) ভাইরাস।   যার ফলে ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে মধুপুরের কলা চাষ। বর্তমানে  ১বিঘা জমিতে ৩৫০-৩৮০ টি কলার গাছ রোপন করা হয়, ১টি কলা গাছে রোপন থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত খরচ হয় ১২০-১৯০ টাকা।  প্রতিটি কলার ছড়ি বিক্রি করা হয় ৩২০-৪৩০ টাকা। ফসলের ক্ষতি না হলে, প্রতি বিঘাতে গড়ে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়।

মধুপুর কলাচাষি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সহ-সভাপতি সার্জেন্ট (অব) মতিয়ার রহমান গোলাম কিবরিয়া আমাদের জানান, আমি গত বছর ৩০ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলাম। এতে আমার লস হয়েছিল ১৮ লক্ষ টাকা। আমি ছাড়াও আমাদের সংগঠনের অনেক সদস্যদের লক্ষ লক্ষ টাকা লস, ঋন পরিশোধ করতে না পেরে একজন গ্রাম ছাড়া এমন ঘটনাও ঘটেছে। আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ৫-১০ কোটি টাকা।  এর মূল কারন ছিল অজানা এক রোগ(পানামা) যার ফলে আমার কলার বাগান নস্ট হয়ে যায়। আমি এ বছর কলা চাষ করিনি কারন আমার এখন কলা চাষ করার সামর্থ্য নেই। আমার যে ক্ষতি হয়েছে জানিনা কি ভাবে সে টাকা তুলবো। কলা চাষে লস বলে অন্য ফসল আবাদ করছি।

কলাচাষি হারুন বলেন: কলা চাষে লাভ আছে কিন্তু পাতামড়া ও গাছ হলুদ হয়ে মরে যাওয়ার জন্য আমাদের ক্ষতি হয়েছে । দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে তিনি বলেন করোনা কালীন সময়ে কলা চাষে আমাদের যে লস হয়েছে তা আমরা কাওকে ভাষায় বুজাতে পারবো না। আমরা মধুপুরের বনাঞ্চলে বন বিভাগের জমিতে কলা চাষ করি বলে ব্যাংক আমাদের কোন প্রকার লোন দেয়না। পানামা রোগ নিয়ে কৃষি বিভাগের চেষ্টা আমাদের কলা চাষিদের কাজে আসেনি। আমাদের অনেক কলা গাছ মরে গেছে কলা আসার আগেই।

কৃষক তারজুল ইসলাম বলেন: আমি দীর্ঘদিন কলা আবাদ করি, আমার কলা দানকবান্দা এলাকার মাজে সেরা। এ বছর কলা গাছের পাতামড়া ও কলাগাছ পচেঁ যাওয়া রোগটা ভয়াবহ আকার ধারন করছে , যার ফলে অনেকে কলা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতাছে। আমারো অনেক কলা গাছ মারা গেছে, কোন  ঔষধে কাজ হচ্ছেনা। আমরা কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ চাই, তা না হলে কলা চাষে এমন বিপর্যয় চাষিদের অস্তিত্বে হানা দিবে। কলাচাষ না হলে সোনালী আঁশ(বেনেনা জুট) উৎপাদন কম হবে, কর্মসংস্থান কমে যাবে। এবং পানামা ভাইরাসের প্রতিকার করা না হলে  কৃষক কলা চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবো।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আল-মামুন রাসেল আমাদের জানান, আমরা সরাসরি মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন একই জমিতে বার বার কলা চাষ করায় মাটির জৈব উপাদান কমে যাচ্ছে ফলে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। অতিরিক্ত  মাত্রায় এলোপাথারি  কীটনাষক ব্যবহার , ভালো বীজ সংগ্রহ না করা ও বীজ শোধন করে রূপন না করার ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এজন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ জৈবসার ব্যবহার ও কলা চাষে ফুডব্যাগিং পদ্ধতিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি।

নিউজটি সোস্যালমিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ
© All rights reserved © 2021
Theme Customized BY LatestNews