টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার স্বল্প মহেড়া গ্রামে মেয়ের জামাই কর্তৃক শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, নিজ স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোনকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করেছে জামাই।
বৃহস্পতিবার(১৭সেপ্টেম্বর) আনুমানিক রাত সাড়ে ৭টায় মির্জাপুর উপজেলার গুড়ান গ্রামের মোঃ আতোয়ার মিয়ার ছেলে মোঃ স্বপন মিয়া (৩২) তার নিজ স্ত্রীর পিত্রালয়ে একই উপজেলার স্বল্প মহেড়া গ্রামে তার স্ত্রী শিলা আক্তার (১৯) সহ শ্বশুর মোঃ সিরাজুল ইসলাম শিরু (৬৫), শ্বাশুড়ি সূর্যবানু (৫০) ও শিলার বড় বোন ফুলে আক্তার (২৫) কে ঘরের দরজা ও কেঁচি গেইট আটকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে, আহতদের চিৎকারে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে কেঁচি গেইট ও দরজা ভেঙ্গে আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং তাৎক্ষণিক ভাবে মির্জাপুর থানা পুলিশকে জানানো হলে, ওসি তদন্ত গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘাতক জামাই স্বপ্ননকে আটক করেন। জানা যায়, ২মাস যাবৎ শিলা ও স্বপন পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
শিলার চাচা মোঃ দুলাল মিয়া আমাদেরটাঙ্গাইল২৪ ডটকমকে জানান, স্বপন প্রায়ই যৌতুকের দাবীতে আমার ভাতিজীকে নির্যাতন করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬সেপ্টেম্বর ঘাতক স্বপন ১লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে, অন্যথায় আমার ভাতিজীকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে। যৌতুকের দাবী পূরণ করতে অস্বীকার করলে ১৭সেপ্টেম্বর আনুঃ রাত সাড়ে ৭টায় মহেড়া তে এসে ঘরের দরজা ও কেঁচি গেইটে তালাবদ্ধ করে আমার দুই ভাতিজীসহ আমার ভাই ও ভাবিকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে, পরে তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। স্বপন একজন নেশাখোর, আমি তার কঠোর শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি।
মহেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ বাদশা মিয়া আমাদেরটাঙ্গাইল২৪ ডটকমকে জানান, স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়ির ৪জনকে আহতের ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই, দাম্পত্য কলহের জের ধরে এঘটনা ঘটতে পারে বলে আমার ধারণা, কারন ইতিপূর্বে শিলা ও তার পরিবারের লোকজনসহ আমার নিকট ইউনিয়ন পরিষদে এসে তাদের দাম্পত্য কলহের কথা জানান, তার স্বামী স্বপন প্রায়ই যৌতুকের দাবীতে শারিরীক, মানসিক ও পাশবিক নির্যাতন করে আর এই নির্যাতনের কারনে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব নয় বলে জানান। এবং শিলাকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে বিভিন্ন সময়। তার স্বামী একজন নেশা অগ্রস্থ ও বদমেজাজি বলেও উল্লেখ করে তারা। আমি এই নৃশংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়, পরবর্তিতে আহতদের আশঙ্কা জনক অবস্থার উপর ভিত্তি করে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে প্রেরণ (রেফার) করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়াধীন।