রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে নয়টি ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ৪র্থ কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ হাজার ৬৫৫ ভোটারের মধ্যে মোট ২১ হাজার ৭১১ (৭৫.৯৭%) ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে এগার হাজার দুইশত আটাশি ভোট পেয়ে ৪হাজার একশত নিরানব্বই ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ নুরুন্নবী সরকার, সাত হাজার সাতশত উননব্বই ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী হয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আকবর জব্বার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীকে জামিল আল মামুন পেয়েছেন পাঁচশত সাতাশ ভোট, নারিকেল গাছ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ হুমায়ুন খালিদ পেয়েছেন দুই হাজার দুইশত পয়ত্রিশ ভোট ও মোবাইল ফোন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ হাসান হাসনাত (মিশু) পেয়েছেন পাঁচশত সাতাশ ভোট চারশত পয়ত্রিশ ভোট। ভোটারেরা জানান, তাঁরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন।বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার রুমানা তানজিন অন্তরা।
বিজয়ী নব-নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ নুরুন্নবী সরকার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আমাদের টাঙ্গাইল টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রায় দুই যুগেও নাগরিকরা সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা এখনও পায়নি। ভোটারেরা একটি পরিচ্ছন্ন, জলাবদ্ধতামুক্ত, দৃষ্টি নন্দন আধুনিক পৌরসভা গড়তে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়ে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। মহান আল্লাহর রহমতে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করে চলেছেন, আমিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এমপি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকলকে নিয়ে কালিহাতীকে একটি আধুনিক পৌরসভা হিসেবে উপহার দেবো।
সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে অটোরিক্সা প্রতীকে মোছাঃ চায়না ২৩৯৩ভোট, ২নং ওয়ার্ডে জবাফুল প্রতীকে ময়না আক্তার ২৯৫৬ভোট, ৩নং ওয়ার্ডে আনারস প্রতীকে মোসাঃ রেজিয়া আক্তার ৩২৬৪ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীকে সিদ্দিক হোসেন ৭৫৬ভোট, ২নং ওয়ার্ডে পাঞ্জাবী প্রতীকে সোহেল রানা ১০৮৯ভোট, ৩নং ওয়ার্ডে ডালিম প্রতীকে আবু বকর ৬৫২ভোট, ৪নং ওয়ার্ডে পাঞ্জাবী প্রতীকে অজয় কুমার দে সরকার লিটন ১৬০৫ভোট, ৫নং ওয়ার্ডে গাজর প্রতীকে মোঃ ফারুক হোসেন ৯৯০ভোট , ৬নং ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে মোঃ দুলাল হোসেন ৭১৬ভোট, ৭নং ওয়ার্ডে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে এনামুল হক ৮৬১ভোট, ৮নং ওয়ার্ডে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে খন্দকার সাইদুর রহমান ১০৩৯ভোট, ৯নং ওয়ার্ডে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে আব্দুছ ছালাম ৪৮৯ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মেয়র পদে ৫জন প্রার্থী, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৫জন এবং সংরক্ষিত ৩টি আসনে ১০জন সহ সর্বমোট ৫০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। “খ” শ্রেণীর এ পৌরসভাটি ১৯৯৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর ১৭টি গ্রাম নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পৌরসভায় রুপান্তরিত হয়। ।