১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা, দোয়া ও শোক আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ অনলাইন আওয়ামী টিম- বোট এর আয়োজনে শুক্রবার (২৮আগস্ট) সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ হলরুম, পল্টনে এই শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ অনলাইন আওয়ামী টিম বোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- এডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোঃ রেজাউল করিম স্বপন।
শোকসভায় বক্তব্য রাখেন- সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সেলিনা বেগম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক টুটুল আহমেদ রুদ্র, শিক্ষা ও মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক তুহিন খান, ঢাকা উত্তর বোটের সদস্য সচিব অনিক আহসান, জামালপুর জেলা বোটের সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম পলাশ, টাঙ্গাইল জেলা বোটের সভাপতি ডাঃ আকাশ মাহমুদ সোহেল, কুমিল্লা জেলা বোটের সভাপতি তুহিন মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব মনির খান, টাঙ্গাইল জেলা বোটের সহ-সভাপতি, শাহাদাত হোসেন, মুন্না খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল বখ্শ, আব্দুস সালাম, রাজু হাসান প্রমুখ।
শোকসভায় এডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী বলেন- “১৫ আগস্ট এবং ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে পাকিস্তানি ভাবধারায় জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করাই হচ্ছে একাত্তরের এই পরাজিত অপশক্তির মুল টার্গেট।
তিনি বলেন, জিয়া পরিবার ও জামাত হচ্ছে তৎকালীন পাকিস্তানি এজেন্ট এবং রাজনীতির দূষিতক্ষত। এই ক্ষত সারাতে হলে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়াতে হবে। একে অপরকে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে হবে। হিংসা, বিদ্বেষ চিরতরে বিলুপ্ত করতে হবে। দূর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। সেই লক্ষ্যেই বোট কাজ করে যাচ্ছে। সবাইকে বোটের পতাকাতলে আসার আহবান জানিয়ে,
১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর বীর শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি ও ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধান্ঞ্জলী ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তাদের কৃতিত্ব আলোচনা করেন এডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী। “
শোকসভা শেষে সম্মিলিতভাবে ১৫আগষ্ট ও ২১আগষ্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদীর্ঘায়ু কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ক্বারী ওবায়দুল্লাহ বেলালী সাহেব।