টাঙ্গাইলে বেড়েই চলছে করোনা শনাক্তের রোগীর সংখ্যা। এতে করে জেলার করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৪০৩ জনে।
শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহীদুজ্জামান শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদরে ৪৪ জন, বাসাইলে ৫ জন, কালিহাতীতে ২ জন, নাগরপুরে ১ জন, মধুপুরে ১ জন, গোপালপুর ১ জন এবং মির্জাপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।
এদিকে নতুন করে করোনায় ২ জনের মৃত্যু আজ সকালে জেলার সিভিল সার্জন অফিস থেকে দেখানো হয়েছে। ওই দুইজনের বাড়ি সদর উপজেলায়। এনিয়ে জেলায় মোট ২৪ জনের মৃত্যু হলো।
টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানান, ঢাকায় প্রেরিত নমুনার ফলাফল আজ সকালে আসে। এতে নতুন করে ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৪১ জন এবং চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৩৮ জন। সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয় বাসাইল উপজেলায়।
সদর উপজেলায় ৪৭৭ জন, নাগরপুরে ৫০ জন, দেলদুয়ারে ৬৩ জন, সখীপুরে ৬১ জন, মির্জাপুরে ৩৫৭ জন, বাসাইলে ৩৪ জন , কালিহাতীতে ৬৯ জন, ঘাটাইলে ৫১ জন, মধুপুরে ৯৬ জন, ভূঞাপুরে ৫৪ জন, গোপালপুরে ৫৪ জন এবং ধনবাড়ী উপজেলায় ৩৭ জন রয়েছেন।
সূত্র আরও জানান, গত ৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। জেলায় এপ্রিল মাসে ২৪ জন, মে মাসে ১৪১, জুন মাসে ৪৪৭ এবং জুলাই মাসে (আজ পর্যন্ত) ৭৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মাস ভিত্তিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন মৃত্যু দুইজনের বাড়ি সদর উপজেলায়। এদের মধ্যে একজন নারী রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতেই টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের ব্যক্তিগত সহকারী হাসান মাহমুদ (৪৭) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি পৌরসভার দক্ষিন থানা পাড়ার বাসিন্দা।
অপরদিকে চরকাকুল্লী গ্রামের জিনিয়া নামের এক নারী সদর হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার মারা যান। পরে ওই দিনই তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই নারীর উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, শরীলের বিভিন্ন জায়গায় পানিসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গতকাল শুক্রবার তার করোনার নমুনার ফলাফলে পজেটিভ আসে বলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রামপদ রায় জানান।