চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান ও মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না করা এবং পাওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একই সাথে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়া হয়। টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালের স্রোত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রেফাজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা পরিবেশক মালিক সমিতির করণিকসহ দশজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে দৈনিক কালের স্রোত পত্রিকার সম্পাদক রেফাজুর রহমান ও তার সহযোগী আবু তাহের দুই দফায় চার লাখ ৯০ হাজার টাকা নেন। পরে তারা দশটি ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন। পরে সে টাকা ফেরত না দেয়ায় করণিক মো. রাসেল বাদি হয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিগত ২০১৯ সালের ২৬ মে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিনি সাক্ষী। মামলাটি তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। চলিত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। তারপর রেফাজুর রহমান গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে রফিকুল ইসলামকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে মামলায় সাক্ষী না দেয়ার জন্য এবং বাদিকে দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়া হয়।
সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, রেফাজুর রহমানের কথামতো মামলা প্রত্যাহার না করায় এবং টাকা ফেরত চাওয়ায় গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দৈনিক কালের স্রোত পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে ‘নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলার আসামী রফিকের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংগঠিত করার অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। অথচ আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। এতে আমার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানী করা হয়েছে। একইভাবে তার ব্যবসায়িকভাবে আর্থিক ক্ষতিও করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি মানহানির মামলা দায়ের করবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।