কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। উপজেলার মান্দ্রা গ্রামে দিনদুপুরে বাড়িতে এসে রাবেয়া আক্তার নামে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ ও হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতকরা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং ঘটনার ছায়া তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে র্যাব, সিআইডি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পিবিআই। এদিকে মোটরসাইকেলে আসা ৩ ঘাতককে হন্য হয়ে খুঁজছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। তবে ঘটনার তিনদিনেও জড়িতরা ধরা পড়েনি।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, কুমিল্লা নগরীর নুরপুরের মাসুদ মজুমদারের ছেলে কাতার প্রবাসী মেহেদী হাছানের সঙ্গে দুই বছর আগে নাঙ্গলকোট উপজেলার মান্দ্রা গ্রামের আলী মিয়ার মেয়ে রাবেয়া আক্তারের (২১) বিয়ে হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে রাবেয়াকে শ্বশুরবাড়িতে তুলে না নেয়ায় সে বাবার বাড়িতেই থাকত। ২৮ জুন দুপুরে তার মা মান্দ্রাবাজারে যান। এ সময় বাড়িতে শুধু রাবেয়া ও তার নানি ছিলেন। এ সুযোগে মোটরসাইকেলে তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাদের বাড়িতে আসে।
এ সময় দুই যুবক ঘরে প্রবেশ করে এবং একজন ঘরের সামনে বসে পাহারা দেয়। যুবকরা পরিচিত এবং ব্যাংকের লোক মনে করে গৃহবধূর নানি আর কাছে যাননি। গৃহবধূর মা বাজার থেকে ফিরে মায়ের কাছে মেয়ে কোথায় জানতে চান। তিনি ঘরে ব্যাংকের লোকদের সঙ্গে কথা বলছে এমনটি জানান। পরে গৃহবধূর মা এগিয়ে গিয়ে খাটে লাশ দেখতে পান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। সোমবার নিহতের বাবা ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
গৃহবধূর মা অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের আবুল কালাম ও তার ভাই লিটনের বিরোধ চলে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে রাবেয়াকে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক আশ্রাফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, সন্দেহভাজনরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
অতি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।