টেক জায়ান্ট গুগল ও মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের পর এবার নিজেদের কর্মীদের আরও এক বছর ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’- অর্থাৎ বাসায় থেকে কাজ করার অনুমতি দিল ফেসবুক।
পাশাপাশি মার্ক জুকারবার্গের সংস্থাটি বাড়িতে অফিসের পরিকাঠামো তৈরির জন্য প্রত্যেক কর্মীকে এক হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮৫ হাজার টাকা) আর্থিক সাহায্য দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছে।
মহামারী করোনাভাইরাস রোধে এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। ফেসবুকের এক মুখপাত্র ঘোষণা করেছেন, ‘সরকার ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের পরামর্শানুযায়ী এবং আমাদের সংস্থার অভ্যন্তরীণ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, কর্মীরা ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত বাসা থেকে কাজ করতে পারবেন।’ কর্মীদের ই-মেইল করে এ বার্তা দিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই ই-মেইলেই বলা হয়েছে, পরিকাঠামোর জন্য কর্মীদের যে এক হাজার মার্কিন ডলার দেয়া হবে, সে অর্থ কর্মীদের বেতনের বাইরে অতিরিক্ত অনুদান।
তবে জুকারবার্গের সংস্থা জানিয়েছে, যেসব জায়গায় সরকারের ছাড়পত্র রয়েছে এবং যেখানে গত দু’মাস ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়মিত কমছে, সেসব এলাকায় ধীরে ধীরে অফিস চালুর প্রক্রিয়া শুরু করবে। তবে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণবিধি মেনেই অফিস চালান হবে।
একই সঙ্গে বলা হয়েছে, আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকায় এ বছরের শেষের দিকেই সংস্থার অফিসগুলো খুলতে শুরু করবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকায় এ বছরের শেষের দিকেই সংস্থার অফিস খুলতে শুরু করবে।
সারা বিশ্বেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। আপাতত এটি কার্যত নিশ্চিত, টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এ ভাইরাস থেকে মুক্তি নেই। কিন্তু সেই টিকা কবে আসবে, তা এখনও নির্দিষ্ট নয়।
এ পরিস্থিতিতে জুলাইয়ের শেষের দিকে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগল ঘোষণা করেছিল, তাদের কর্মীরা ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন। আরও এক কদম এগিয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার আবার কর্মীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দিয়েছে।
তথ্যঃ যুগান্তর