এম এম হেলাল, কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃআগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪র্থ কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচন, “খ” শ্রেণীর এ পৌরসভাটি ১৯৯৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর ১৭টি গ্রাম নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পৌরসভায় রুপান্তরিত হয়। প্রায় দুই যুগেও নাগরিকরা সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা এখনও পায়নি।
আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন, ভোটারদের মন জয় করতে তুলে ধরছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী তরুন স্বতস্ত্র প্রার্থী মোঃ হাসান হাসনাত (মিশু), তিনি মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন তিনি।
নির্দলীয়, কম বয়সী ও নতুন প্রার্থী হিসেবে ভোটাররা কেনো আপনাকে ভোট দিবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নই, লেজুড়বৃত্তি করবো না। তরুণ হিসেবে ক্লিন ইমেজ রয়েছে আমার।
বিগত দিনে যারা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা, দলীয় ও ব্যবসায়িক ব্যস্ততায় সাধারণ নাগরিকদের সেবা পেতে তাঁদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেবা নিতে হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমি নির্বাচিত হলে সম্মানিত নাগরিকদের কোনও প্রকার হয়রানি ছাড়াই দ্রুততম সময়ে সেবা দেবো। সম্মানিত ভোটাররা এ সকল কারণে আমাকে মোবাইল ফোন প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ।
পৌরসভার বয়স প্রায় দুই যুগ হতে চললেও উল্লেখযোগ্য দৃশ্যমান কেনো উন্নয়ন হয়নি, জলাবদ্ধতা, ধূলোবালি-দূষণে, বেহাল রাস্তায় নাগরিকরা অতীষ্ট। একটি পরিচ্ছন্ন, দূষণমুক্ত সবুজ আদর্শ পৌরসভা গড়াই আমার লক্ষ। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি গ্রাম হবে শহর, এলক্ষে আমি পৌরসভাকে দৃষ্টিনন্দন শহর করতে সচেষ্ট। মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, গণ্যমান্য বিশিষ্ঠ নাগরিকদের সহায়তা নিয়ে মাদক ও সন্ত্রাস দমনে চেষ্টা করবো এবং মাদকাসক্ত নিরাময়ে একটি নিরাময় কেন্দ্র করবো। ড্র্যানেজ ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সড়কবাতিসহ শতভাগ নাগরিক সেবা প্রদান করবো। সম্মানিত ভোটারদেরকে আমি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪র্থ কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে মোবাইল ফোন প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাঁদের শতভাগ নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবে বলে আমি আশাবাদী।