টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি সবচেয়ে অবহেলিত এলাকা নামে ক্ষ্যাত কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এই ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে ।
নদী কবলিত এলাকার মধ্য রয়েছে আলিপুর , ভৈরববাড়ী , বেলটিয়া , দৈবগগাতী , গোবিন্দপুর, বিনোতনহুরিয়া, এবং বেরিপটল সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ।
সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারীর কবলে ঠিক তখন এই এলাকার অনেকেই ভিটে মাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে জিবন যাপন করছে , নির্ঘুম রাত পার করছে পাড়ে বসবাসরতরা, যেন দেখার কেউ নেই । এ ছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছে গ্রামের অধিকাংশ বাড়ী ঘর ও মসজিদ মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চরম হুমকির মুখে রয়েছে। এর মধ্য মারাত্বক হুমকির মুখে রয়েছে আলিপুরে অবস্থিত ১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , আলিপুর দারুস্ছুন্নাৎ দাখিল মাদ্রাসা, আলিপুর ঈদগাহ মাঠ, আলিপুর হাট সহ ৫ থেকে ৭ টি মসজিদ ।
এলাকার মানুষের বক্তব্য আমাদের কোন করোনার ভয় নেই, ঘর বাড়ী , গাছপালা স্থানান্তর করাতেই ব্যাস্ত থাকতে হচ্ছে সবসময়, কখোন যেন নদী এসে ভীটে মাটি নিয়ে যায়। উল্লেখ্য , গত কয়েক বছর যাবত উক্ত এলাকা পালাক্রমে ভাঙ্গনে যেমন ভিটে মাটি হারাতে হচ্ছে সেই সাথে ফসলি জমিও চলে যাচ্ছে নদী গর্ভে । ফলে নিঃশ্ব হয়ে পড়ছে কবলিত মানুষ , কিন্তু জনপ্রতিনিধির চোখে যেন এগুলো পড়ে না , এলাকাবাসী ভাঙ্গন রক্ষা বাধের ব্যাপারে বার বার দাবি জানালেও কোন কর্ণপাত করেনি কোন জনপ্রতিনিধিই ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ নেতারা এই ভাঙ্গনকে পুজি করে আমাদের ভোট আদায় করে থাকেন , একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আর তাদের দেখা যায়না । এমনকি সম্প্রতি ব্যাপক ভাঙ্গলেও কোন জনপ্রতিনিধির তেমন সারা পাওয়া যাচ্ছেনা , এ দিকে এত ভাঙ্গনের কারন জিজ্ঞেস করা হলে এক এলাকাবাসি বলেন অন্যান্য বছর বর্ষা শুরু হওয়া মাত্রই এলাকার প্রভাবশালী বালু খেকোরা নদী থেকে বালু উত্তলন করে বলগেট দিয়ে বালু সরবরাহ করে থাকেন যার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে পাড় ভাঙ্গন শুরু হয়। যদিও এবার জনগণের বাধার মুখে বালু উত্তলন সাময়িক ভাবে বন্ধ আছে।। এমতবস্থায় এলাকার ভুক্তভোগি মানুষের দাবি অতিসত্তর এলাকাগুলো রক্ষার্থে সরকার যেন কার্যকরী পদক্ষেপ নেন, যাতে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষগুলো শান্তিতে বসবাস করতে পারে ।